রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

রাশিয়ার ৫ ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪৮ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি ইউক্রেনের

ইউক্রেনকে সাড়ে ২২ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে আমেরিকা
যাযাদি ডেস্ক
  ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০
রাশিয়ার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবন -ফাইল ছবি

রাশিয়ার ছোড়া করা পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৪৮টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। শুক্রবার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, রাতভর তাদের ৯টি অঞ্চলে অন্তত ৫৩টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তথ্যসূত্র : রয়টার্স

কিয়েভের গভর্নর জানিয়েছেন, রাজধানীতে ড্রোন ও কেএইচ-১০১ ও কেএইচ-৫৫৫ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে কিয়েভের একটি শিল্প কারখানায় আগুন ধরে যায়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগুন নেভানোর কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিস। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ বলেছেন, হামলায় অন্তত তিনটি আবাসিক ভবনের জানালা ভেঙে গেছে। এ ছাড়া একটি দোকান ও একটি পোস্ট অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। গভর্নর বলেন, দিনিপ্রপেত্রোভস্ক অঞ্চলে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

কিরোভোহরাদের গভর্নর বলেছেন, ইউক্রেন সামরিক বাহিনী একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে হামলায় তার অঞ্চলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। খমেলনিৎস্কির গভর্নরও কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা জানাননি। তবে রুশ বিমান বাহিনী তার অঞ্চলের ১১টি লক্ষ্যবস্তুতে গুলি করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ ওডেসা অঞ্চলে সাতটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে তারা। খেরসন অঞ্চলে তিনটি এবং মাইকোলাইভ অঞ্চলে আরও দুটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এসব হামলায় ইউক্রেনের কোনো জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

এই বসন্তে রাশিয়া ক্রমবর্ধমানভাবে ইউক্রেনের শক্তি ও জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে সম্মিলিত আক্রমণ চালানো শুরু করেছে। এতে দেশটির বিদু্যৎ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ইউক্রেনজুড়ে প্রায়ই বিদু্যৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

ইউক্রেনকে সাড়ে ২২ কোটি ডলারের

সামরিক সহায়তা দেবে আমেরিকা

ফ্রান্সে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ডি-ডে বার্ষিক অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে শুক্রবার রাজধানী প্যারিসে তাদের দেখা হয়। এ সময় ইউক্রেনকে সাড়ে ২২ কোটি ডলারের একটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই প্যাকেজে গোলাবারুদ এবং বিমান বিধ্বংসী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অন্য সরঞ্জাম রয়েছে।

গত ডিসেম্বরে জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফরের পর এটিই তাদের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। পরের সপ্তাহে ইতালিতে একটি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে আবারও দেখা করবেন এই দুই নেতা। কেননা ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে হিমায়িত করা রুশ সম্পদের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করছে ধনী দেশগুলো। এই সম্পদ থেকে ইউক্রেনকে ৫০ বিলিয়ন ডলার প্রদান করতে ইচ্ছুক তারা। গত মাসে জেলেনস্কি বলেছিলেন, পশ্চিমা দেশগুলো সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক বেশি সময় নিচ্ছে।

ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে ১০ মে নতুন করে হামলা করে মস্কো। রুশ বাহিনী সেখানকার কয়েকটি গ্রাম দখলে নেওয়ার পর প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জাম সংকটের মধ্যেই আত্মরক্ষার জন্য লড়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য সীমিত আকারে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন বাইডেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে