রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা

আবারও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিলেন পুতিন

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন

ইউক্রেনকে দূরপালস্নার পশ্চিমা অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা করার অনুমতি দেওয়ায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন। এর প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্র দেশের কাছাকাছি প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের হুমকি দিয়েছেন তিনি। বুধবার এক বিরল সংবাদ সম্মেলনে এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি আরও বলেন, রাশিয়া কখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না এমন ধারণা ভুল। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, এপি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বুধবার প্রথমবারের মতো পশ্চিমা বার্তা সংস্থাগুলোর জ্যেষ্ঠ সম্পাদকদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসেছিলেন পুতিন (৭১)। সেখানে তিনি বলেন, রাশিয়া কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না- পশ্চিমের এমন অনুমান ভুল, ক্রেমলিনের পারমাণবিক নীতিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত না। রুশ ভূখন্ডে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনকে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিতে ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পুতিন সতর্ক করে বলেন, কিয়েভকে আরও শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার আঘাত হানার অনুমতি দেওয়া হবে গুরুতর বাড়াবাড়ি, যা পশ্চিমকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যাবে। পুতিন বিশেষভাবে মার্কিন এটিএসিএমএস এবং ব্রিটিশ ও ফ্রান্সের ক্ষেপণাস্ত্র পদ্ধতির উলেস্নখ করে জানান, রাশিয়ার জবাব হবে পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে গুলি করে উড়িয়ে দেওয়া। তিনি আরও জানান, যেসব রাষ্ট্র ইউক্রেনকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখন্ডে আঘাত হানার অনুমতি দেবে, তাদের ওপর আঘাত হানার মতো দূরত্বে একই ধরনের উচ্চপ্রযুক্তির, দীর্ঘপালস্নার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার কথা বিবেচনা করছে মস্কো। পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর যারা আক্রমণ চালাতে পারবে, তাদেরও অস্ত্র দেবে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, 'যদি আমরা দেখি এই দেশগুলো রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে, তাহলে আমরা একটি পথে জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করি। সাধারণভাবে এটি খুব গুরুতর সমস্যার পথ হবে।' তবে কোথায় তিনি এসব ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবেন, তা নির্দিষ্ট করে জানাননি। বার্ষিক 'সেইন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরাম'কে সামনে রেখে নতুন নির্মিত ৮১ তলা গ্যাজপ্রম টাওয়ারে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিন ঘণ্টা কথা বলেন পুতিন। এ সময় তিনি গাজা যুদ্ধ থেকে আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনসহ অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকার মানুষের মনে ইউক্রেন সম্পর্কে কোনো আগ্রহ নেই। তারা নিজের দেশের মহিমায় আগ্রহী। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলের পরোয়া না করে পুতিন বলেন, আমেরিকা ভেতর থেকেই নিজেকে এবং নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন তিনি। তবে জো বাইডেন বা ট্রাম্প, যিনিই আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হোন না কেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তনের আশা করছেন না পুতিন।