দক্ষিণ আফ্রিকায় গরিষ্ঠতা হারাল নেলসন ম্যান্ডেলার দল

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টের ঐতিহাসিক নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে নেলসন ম্যান্ডেলার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি)। ৩০ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের পতন ঘটায় দলটি। এরপর দেশটিতে যতবার পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছে, ততবারই তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে বেকারত্ব, দরিদ্রতা, অবকাঠামোর অবনতিসহ নানা কারণে এএনসির প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন কমে গেছে। যার ফল পাওয়া গেছে এবারের নির্বাচনে। তথ্যসূত্র : এপি, রয়টার্স গত বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট ৯৯ শতাংশ গণনা সম্পন্ন হয়েছে শনিবার। এতে দেখা গেছে, এএনসি ৪০ শতাংশের কিছু ভোট পেয়েছে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া থেকে অনেক কম। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করবে দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। তবে এএনসির ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিশ্লেষকদের ধারণা, বেকারত্ব, বৈষম্য ও বিদু্যৎ সংকটের জন্য ক্ষুব্ধ জনগণের মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে এবারের নির্বাচনে। নির্বাচনের শুরুতে কমিশন জানিয়েছিল, রোববার আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হবে। তবে তা এর আগেই হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ভোটের হারে জাতীয় পরিষদে তাদের আসন সংখ্যা নির্ধারণ হবে। নতুন পার্লামেন্ট দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। ম্যান্ডেলার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও তাদের নেতৃত্বেই দেশটিতে সরকার গঠিত হবে। তবে সরকার গঠন করতে হলে অন্য দলের সঙ্গে তাদের জোট গড়তে হবে। এছাড়া সিরিল রামাফোসাই দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো প্রেসিডেন্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচন শেষে এমপিরা দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা জন স্টেনহুইসেন বলেছেন, 'দেশকে বাঁচাতে এএনসির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ভাঙার প্রয়োজন ছিল। আমরা এটি করেছি।' জন স্টেনহুইসেনের দল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স পার্টি ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অপরদিকে, জ্যাকব জুমার গঠিত নতুন দল এমকে পার্টি পেয়েছে ১৪ শতাংশ ভোট। একসময় এএনসিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জুমা। কিন্তু পরে তিনি নিজের দল গঠন করেন। বলা হচ্ছে, জুমার দল ১৪ শতাংশ ভোট পাওয়ার কারণেই মূলত এএনসি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। আরেক দল ইকোনোমিক ফ্রিডম ফাইটার্স পেয়েছে মাত্র ৯ শতাংশ ভোট।