শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

মিয়ানমারের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ জুন ২০২৪, ০০:০০
মিয়ানমারের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা

দিন যত যাচ্ছে, মিয়ানমারে ততই সংগঠিত হচ্ছে জান্তাবিরোধী বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আর দুর্বল হচ্ছে জান্তা। একদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত এলাকার সংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে অধিকাংশ সংঘাতে পরাজিত হতে হতে বেকায়দায় রয়েছে জান্তা বাহিনী। আন্তর্জাতিক দুই থিঙ্কট্যাংক সংস্থা স্পেশাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমার (স্যাক-এম) অ্যাড এবং ক্রাইসিস গ্রম্নপের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা গেছে এই তথ্য। তথ্যসূত্র : রয়টার্স

স্যাক-এমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানের মিয়ানমারের ৮৬ শতাংশ শহর-গ্রামে জান্তার কোনো কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নেই। মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশ বসবাস করে এসব শহর-গ্রামে।

বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্যাক-এমের গবেষকরা বলেন, 'শাসক হিসেবে নূ্যনতম যেসব দায়িত্ব পালন করা উচিত, মিয়ানমারের অধিকাংশ এলাকায় সেসবও পালন করতে পারছে না জান্তা। দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে এবং এর ফেলে ব্যাপক চাপে পড়া জান্তাগোষ্ঠী এখন আক্রমণাত্মক অবস্থান ছেড়ে রক্ষণাত্মক ভূমিকা নিতে বাধ্য হচ্ছে।'

এদিকে, ক্রাইসিস গ্রম্নপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'গত আট মাসে অধিকাংশ সংঘাতে বিজয় মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আরও সংগঠিত হয়েছে। এমনকি মিয়ানমার-থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তও এখন তাদের দখলে।'

মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতার শুরু ২০২২ সালে অভু্যত্থানের মাধ্যমে দেশটির সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে। ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করে জান্তা, সেই সঙ্গে গণতন্ত্রকামী জনগণের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলনও নির্মমভাবে দমন করে। তারপর থেকেই মিয়ানমারের রাজনীতিতে উত্থান ঘটতে থাকে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর।

গত বছর অক্টোবরে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশ ও শহরের দখল নিতে যুদ্ধ শুরু করে। গত প্রায় আট মাস ধরে চলমান এই যুদ্ধে দেশের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্রোহীরা বিজয়ী হয়েছে এবং তাদের এই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে নিজেদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে ক্রাইসিস গ্রম্নপ।

বিদ্রোহীদের একের পর এক বিজয় রাজধানী নেইপিডোর অভিজাতদের মধ্যে হতাশা বাড়িয়ে তুলছে এবং মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের ভবিষ্যৎকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে ক্রাইসিস গ্রম্নপের প্রতিবেদনে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে