জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন কেজরির
প্রকাশ | ২৮ মে ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ভারতের রাজধানী দিলিস্নর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন। সোমবার তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দিয়েছেন। গুরুতর স্বাস্থ্যের উদ্বেগের কথা উলেস্নখ করে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি
আবেদনপত্রে কেজরিওয়াল লিখেছেন, তার ওজন সাত কেজি কমে গেছে এবং কেটোন মাত্রা বেড়েছে। অবিলম্বে তার পিইটি স্ক্যান, সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন। এসব কারণ দেখিয়ে দিলিস্নর মুখ্যমন্ত্রী জামিনের মেয়াদ সাত দিন বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। তবে তার এ আবেদন মঞ্জুর করা হবে কিনা, আদালত এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
ম্যাক্স হাসপাতালের একটি মেডিকেল টিম এরই মধ্যে কেজরিওয়ালের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। এ বিষয়ে কেজরিওয়ালের আইনি পরামর্শদাতা বলেন, তার সুচিকিৎসার জন্য এসব পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।
কেজরিওয়াল দুর্নীতির মামলায় ৫০ দিন কারাগারে থাকার পর গত ১০ মে তাকে ২১ দিনের অন্তর্র্বর্তীকালীন জামিন দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। চলমান লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার জন্য তাকে এই জামিন দেওয়া হয়।
তবে জামিনে মুক্ত থাকা অবস্থায় তাকে তার নিজস্ব কার্যালয় অথবা দিলিস্নর সচিবালয়ে যাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে আদালত। এছাড়া অত্যন্ত জরুরি না হলে কোনো আনুষ্ঠানিক ফাইলেও স্বাক্ষর না দেওয়ার কথা উলেস্নখ করা হয়।
তার বিরুদ্ধে চলা মামলা নিয়ে কোথাও কোনো মন্তব্য করতেও নিষেধ করা হয়েছিল কেজরিকে। জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে দলের হয়ে টানা প্রচার করেছেন তিনি। দিলিস্নতে ভোট হয়ে গেছে ২৫ মে।
কেজরিওয়ালের অন্তর্র্বর্তী জামিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১ জুন। শর্ত অনুযায়ী, ২ জুন কারা কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে দিলিস্নর মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে তার আগেই জামিনের এই মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানোর আবেদন করলেন তিনি।
এদিকে দিলিস্নর মুখ্যমন্ত্রীর জামিন নিয়ে শুরু থেকেই সমালোচনা করে আসছেন বিজেপি নেতারা। সুপ্রিম কোর্ট থেকে তাকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে তারা দাবি করেন। তবে জামিনের সঙ্গে জড়িত বিচারকরা দৃঢ়ভাবে বলেছেন, কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কিছু করা হয়নি।
উলেস্নখ্য, গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পরে তাকে পাঠানো হয় তিহার জেলে।
তবে ইডির গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন দিলিস্নর মুখ্যমন্ত্রী। তার আইনজীবীদের দাবি ছিল, নির্বাচনী প্রচার থেকে কেজরিওয়ালকে আটকাতেই ইচ্ছাকৃতভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে।
সেই আবেদনের ভিত্তিতেই গত ১০ মে কেজরিওয়ালকে অন্তর্র্বর্তী জামিন দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।