রাশিয়া-ইউক্রেনের পাল্টাপাল্টি হামলায় নিহত ১০

ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের একটি হার্ডওয়্যারের দোকান ও একটি আবাসিক এলাকায় দুটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত কমপক্ষে ৩৪ জন। এদিকে, রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেন বাহিনীর হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। শনিবার ইউক্রেন ও রাশিয়া পাল্টাপাল্টি হামলা চালালে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ জাতীয় টেলিভিশনে বলেছেন, খারকিভ শহরের একটি আবাসিক এলাকায় ও হাইপার মার্কেটে দুটি গাইডেড বোমা বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত দুজন ওই দোকানের কর্মচারী। ৪০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত তিনজনের অবস্থা গুরুতর। খারকিভের মেয়র ইহর তেরেখভ বলেন, হামলার সময় হার্ডওয়্যারের দোকানে প্রায় ১২০ জন মানুষ ছিলেন। গত সপ্তাহে রুশ সেনারা সীমান্ত পেরিয়ে খারকিভের উত্তরের একটি ফ্রন্টে উপস্থিত হওয়ার পর থেকে শহরটিতে হামলা বেড়েছে। ২০২২ সাল থেকে এই অঞ্চলটি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে রাশিয়া। এদিকে, সীমান্তের ঠিক ওপারে রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনের হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শিশুসহ অন্তত ১২ জন। বেলগোরোদ আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যাচেস্স্নাভ গস্ন্যাডকভ বলেছেন, একাধিক রকেট হামলায় ওকটিয়াব্রস্কি গ্রামে তিনজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃতু্য হয়। ইউক্রেনীয় সীমান্ত সংলগ্ন শেবেকিনো শহরটিতেও হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি বাড়ির জানালা এবং ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গস্ন্যাডকভ আরও বলেন, ইউক্রেন থেকে ছুড়ে মারা প্রায় ২৯টি বোমা ধ্বংস করেছে তাদের প্রতিরক্ষা ইউনিট। এছাড়া কুরস্ক অঞ্চলে আঘাত হানা ইউক্রেনের একটি ড্রোনও ভূপাতিত করার দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের শুরুতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন বলেছিলেন, খারকিভে সেনাদের প্রবেশের লক্ষ্য ছিল বেলগোরোদ ও সংলগ্ন অন্যান্য অঞ্চলে ইউক্রেনের হামলা প্রতিরোধে বাফার জোন তৈরি করা। বাইডেন ও শি'কে শান্তি সম্মেলনে যোগদানের আহ্বান জেলেনস্কির এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের নেতা শি জিনপিংকে শান্তি সম্মেলনে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে তাদের উপস্থিত থাকার জন্য রোববার এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সাম্প্রতিক সপ্তাহে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা চালিয়ে বেশ অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী।