আপকে ভোট রাহুলের, প্রিয়াঙ্কা বললেন, 'আমরা গর্বিত'

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভোট দিয়ে মায়ের সঙ্গে সেলফি রাহুলের
কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই ভারতের আম আদমি পার্টি- আপের জন্ম। একসময় সোনিয়া গান্ধীর গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ভারতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের যে তালিকা তিনি তৈরি করেছিলেন, তাতে নাম ছিল রাহুল গান্ধীরও। অথচ গান্ধী পরিবারের সেই সদস্যরাই শনিবার লোকসভায় ভোট দিলেন আপ প্রার্থীকে। শুধু ভোট দিলেন না, আপ প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলে দিলেন, বিভেদ ভুলে জোটধর্ম পালন করতে পেরে তারা গর্বিত। তথ্যসূত্র : ইনডিয়ান এক্সপ্রেস সেই নেহেরু আমল থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পর্যন্ত। ভারতের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে গান্ধীদের চার প্রজন্ম। কখনো ক্ষমতায়, কখনো বিরোধী শিবিরে। কিন্তু চার প্রজন্মের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম গান্ধীরা ভোট দিতে পারলেন না কংগ্রেস প্রার্থীকে। আসলে রাহুলদের নিজেদের ভোট দিলিস্নর যে কেন্দ্রে, সেই কেন্দ্রটি এবার জোট সূত্র অনুযায়ী গেছে আপের ভাগে। শনিবার দিলিস্নর নির্বাচনে সকাল সকালই ভোট দিতে যান রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী। ছেলেমেয়েসহ ভোট দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রবার্ট বঢরাও। ভোট দেওয়ার পর সেলফিও তোলেন মা-ছেলে। অর্থাৎ, গান্ধীদের তিন প্রজন্ম ভোট দিলেন এদিন। কিন্তু কেউই ভোট দিতে পারেননি 'হাত' প্রতীকে। দিলিস্ন কেন্দ্রটিতে এবার জোট সূত্র অনুযায়ী প্রার্থী ইনডিয়া জোটের। ভোটাধিকার যতই গোপনীয় হোক, গান্ধী পরিবার যে ইনডিয়া জোটের আপ প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন, সেটা নিয়ে বোধ হয় কারও মনেই সংশয় নেই। ভোটদানের পর স্বাভাবিকভাবেই 'হাত' প্রতীকে ভোট দিতে না পারা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাহুল, প্রিয়াঙ্কাকে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা স্পষ্ট বলে দিলেন, 'আমরা সব বিভেদ দূরে সরিয়ে রেখে সংবিধান এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ভোট দিচ্ছি। আর এটার জন্য আমরা গর্বিত।' প্রিয়াঙ্কার বার্তার পর বোধ হয় আরও খানিকটা স্পষ্ট, কংগ্রেস হাইকমান্ড জোটের স্বার্থে সবরকম আত্মত্যাগে রাজি। জোটের জন্য চরম প্রতিপক্ষের জন্যও বন্ধুত্বের দরজা খুলে রাখতে রাজি। না হলে যে আপের জন্মই হয়েছে কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরোধিতা করে, তাদেরই ভোট দেবে কীভাবে কংগ্রেসের 'প্রথম' পরিবার!