শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১
জাতিসংঘ আদালতের রায়

শুধু ঘোষণা নয়, পদক্ষেপ দেখতে চান ফিলিস্তিনিরা

ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত হওয়া থেকে ফিলিস্তিনিদের বাঁচানোর জন্য বিশ্ব এখনো প্রস্তুত নয়
যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ মে ২০২৪, ০০:০০
ইসরাইলি হামলায় নিঃস্ব দুই ফিলিস্তিনি নারী

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অভিযানে নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে রাফাহতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনি নারী সালওয়া আল-মাসরি মনে করেন, গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে গাজার ফিলিস্তিনিরা যে দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, জাতিসংঘ আদালতের রায়ে তার পরিবর্তন ঘটার তেমন সম্ভাবনা নেই। তথ্যসূত্র : রয়টার্স

উত্তর গাজার বাসিন্দা সালওয়া আল-মাসরির শরণার্থী জীবনের শুরু গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর। ইসরাইলি বাহিনীর বোমা থেকে প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের মতো সালওয়াও নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফাহতে আশ্রয় নেন। বর্তমানে শহরের দেইর আল-বালাহ এলাকায় একটি অস্থায়ী শিবিরে থাকছেন সালওয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা।

শুক্রবার জাতিসংঘভিত্তিক আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান বন্ধের আদেশ দিয়ে রায় দেয়। শরণার্থী শিবিরে নিজেদের তাঁবুর বাইরে খোলা আকাশের নিচে রান্নারত সালওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'এই রায় একদম সঠিক এবং সময়োপযোগী। তবে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এসব সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন দেখতে চাই, কার্যকর পদক্ষেপ চাই। কারণ, যতই দিন যাচ্ছে, গাজায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে।'

গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের আদালতে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান বন্ধের আর্জি জানিয়ে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। গত মাসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফাহতে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা ঘোষণা দেন। মে মাস থেকে রাফায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী।

এদিকে, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ঘোষণার পর অভিযান বন্ধে আবেদন করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে শুক্রবার এক রায়ে রাফায় অভিযান বন্ধ করার আদেশ দেয় জাতিসংঘ আদালত। তবে আদালতের এই রায় প্রত্যাখ্যান করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা বলেছেন, হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের উদ্ধার করতে রাফাহতে অভিযান চালানো জরুরি।

ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গত সাত মাসে চারবার বাস্তুচু্যত শাবান আবদেল রউফ বলেন, 'ইসরাইল বৈশ্বিক জনমতকে পাত্তা দেয় না। মার্কিন প্রশাসন সবসময় তাদের পাশে আছে, তাই নিজেদের বরাবরই আইনের ঊর্ধ্বে বলে মনে করে ইসরাইল। আর দুঃখজনক হলেও সত্য হলো, ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত হওয়া থেকে ফিলিস্তিনিদের বাঁচানোর জন্য বিশ্ব এখনো প্রস্তুত নয়।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে