আজকের যায়যায়দিন

আগামীকাল (শনিবার) লোকসভার ভোটের আগে কার্যত জ্বলছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। পশ্চিমবঙ্গে আলোচিত নির্বাচনী এই এলাকায় বিজেপির এক নারী কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আর হত্যার অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার (২২ মে) রাতে সোনাচূড়া এলাকায় এ হত্যাকান্ড ঘটে। হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি নিহত বিজেপি কর্মীর ছেলে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তথ্যসূত্র : পিটিআই, এবিপি নিউজ, টিভি৯ বাংলা

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে নন্দীগ্রামজুড়ে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিক্ষোভ করছেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। যদিও এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্বাচনী প্রচারের শেষ সময়ে সোনাচূড়ার মনসাপুকুর বাজার এলাকায় বুধবার রাতে পাহারা দিচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সেই সময়ই বাইকে করে আসা একদল দুষ্কৃতকারী ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। রথিবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি কর্মীকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে সন্ত্রাসীরা। রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন রথিবালার ছেলে সঞ্জয় আড়িও। চিৎকার শুনে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এ সময় রথিবালাসহ অন্যদের নন্দীগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা রথিবালাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রথিবালার ছেলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনায় আহত আরও সাতজন বিজেপি কর্মীর নন্দীগ্রাম হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়েছে গোটা এলাকায়।

ঘটনা প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল জানান, 'তৃণমূলের সন্ত্রাসীরা ভোটের মুখে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে এই হামলা চালিয়েছে। বুধবারই নন্দীগ্রামে জনসভা করতে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জনসভার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি কর্মীদের ওপর যেভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, তা ন্যক্কারজনক। এই হামলায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।'

যদিও এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি তৃণমূল। তবে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি, বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

উলেস্নখ্য, নন্দীগ্রাম বিধানসভা তমলুক লোকসভা আসনের অন্তর্গত। আগামীকাল (শনিবার) সেই আসনে ভোটগ্রহণ। তার ঠিক আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম।