রাইসির জানাজায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ

জানাজায় ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুলস্নাহ সাইয়ে্যদ আলি খামেনি। আরও উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক বু্যরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং লেবানিজ হিজবুলস্নাহ প্রতিরোধের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাইম কাসেমসহ অন্যরা

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজা বুধবার তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের জানাজায় অংশ নিয়েছেন ১০ লক্ষাধিক জনতা। এই জানাজায় ইমামতি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুলস্নাহ সাইয়ে্যদ আলি খামেনি। বুধবার (২২ মে) সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইব্রাহিম রাইসিসহ দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের মরদেহের কফিন নিয়ে আসা হয়। এর আগে মঙ্গলবার, তাবরিজ, কোম এবং তেহরানের গ্র্যান্ড মোসালস্না মসজিদে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন- ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক বু্যরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং লেবানিজ হিজবুলস্নাহ প্রতিরোধের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাইম কাসেমসহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অক্ষের নেতারা। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের নেতা, রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা জানাজায় অংশ নেন। এ সময় তেহরান ইউনিভার্সিটি থেকে আজাদি স্কয়ার পর্যন্ত লাখ লাখ জনতার ঢল নামে। এর আগে প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং তার সহযোগীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গলবার গভীর রাতে তেহরানের ইমাম খোমেনি মোসালস্নায় একটি শোক অনুষ্ঠানে জনস্রোত নেমেছিল। খবর প্রেস টিভি। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তেহরান থেকে মরদেহগুলো বিরজান্দ শহরে নেওয়া হবে। সেখান থেকে মাশহাদে নেওয়া হবে। এসব জায়গায় জনগণের শ্রদ্ধা শেষে রাইসির জন্মশহর মাশহাদে শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানের পর আজ ইমাম রেজা (আ.)-এর মাজার কমপেস্নক্সে তার লাশ দাফন করা হবে। উলেস্নখ্য, গত সোমবার আজারবাইজানে একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে যাচ্ছিলেন তারা। ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের খবরে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে, সেটি থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের কেউ ওই ফোন করেছিলেন। দুর্ঘটনার পরপরই প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের উদ্ধারে অংশ নেয় ৪০টি দল। উদ্ধারকারী দল আসে তুরস্ক ও রাশিয়া থেকেও। তবে দুর্ঘটনাস্থলে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘনকুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। এ ছাড়া এ অঞ্চলটি পাহাড়-পর্বতে ভরপুর হওয়ায় দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাইসির হেলিকপ্টারের খোঁজ পান উদ্ধার কর্মকর্তারা।