ক্ষুব্ধ ইসরাইল

রাইসির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন নিরাপত্তা পরিষদের

তাদের মৃতু্যবার্ষিকীতেও কি এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে? কটাক্ষ ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের

প্রকাশ | ২২ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নিরাপত্তা পরিষদে নীরবতা পালন
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুলস্নাহিয়ান ও তাদের সফরসঙ্গীদের অপ্রত্যাশিত মৃতু্যর ঘটনায় এক মিনিটের নীরবতা পালন করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। রোববার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই পরিষদের অধিবেশনে রাইসি ও তার সঙ্গীদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরাইল। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, এএফপি জাতিসংঘে নিযুক্ত মোজাম্বিকের রাষ্ট্রদূত পেদ্রো কমিসারিও আফনসো মে মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। রোববার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধিবেশনের শুরুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের দাঁড়িয়ে এক মিনিটের জন্য নীরবতা পালনের আহ্বান জানান। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সদস্যরা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। তবে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘে ইসরাইলের স্থায়ী দূত গিলাদ এরদান। রাইসির স্মরণে নীরবতা পালন করায় ভীষণ বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত। সদস্যদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, নিরাপত্তা পরিষদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? তাদের মৃতু্যবার্ষিকীতেও এক মিনিট নীরবতা পালন? এর আগেও, ইসরাইল-বিরোধী জাতিসংঘের সদস্যদের প্রতি হিংস্র আচরণ করেছেন এরদান। গাজায় ইসরাইলি অভিযান শুরুর পর থেকেই, নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি হয়ে উঠছে বলে দাবি করেছেন তিনি। নীরবতা পালনের বিনিময়ে সাধারণ পরিষদের পাবলিক হলে কয়েক সেকেন্ডের জন্য রাইসির বিরুদ্ধে পস্ন্যাকার্ডও ধরেছিলেন এরদান। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি কর্তৃপক্ষের প্রধান রাফায়েল গ্রসিও রাইসির মৃতু্যতে শোক প্রকাশ করেছেন। ভিয়েনায় পারমাণবিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের মৃতু্যতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস শোকাহত বলে জানিয়েছেন তার মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিখ। উলেস্নখ্য, রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি স্থানীয় সময় রোববার দুপুরের দিকে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পর্বতঘেরা ভারজাগান এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্তত ৯ জন নিহত হন। এর আগে, রোববার প্রতিবেশী আজারবাইজানের সঙ্গে যৌথ অর্থায়নে নির্মিত কিজ কালাসি বাঁধের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুলস্নাহিয়ানসহ দেশটির সরকারের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা।