ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে সোমবার। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ছয়টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে এদিন। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরই ছিল সাতটি আসন। পঞ্চম দফার এই ভোটে সবার নজরে ছিলেন- রাহুল গান্ধী, স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, পীযূষ গয়াল, ওমর আবদুলস্নাহর মতো 'হেভিওয়েট' প্রার্থীরা। আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফার ভোট হবে। ১ জুন সপ্তম দফার ভোটের পর ফল জানা যাবে ৪ জুন। তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ, এনডিটিভি
সাত দফায় লোকসভা ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে সোমবার পাঁচ দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়। সোমবার দেশের ছয়টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯টি আসনে হয় এই পর্বের ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরই সাতটি আসন ছিল। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৪, মহারাষ্ট্রের ৪৮টির মধ্যে ১৩, বিহারের ৪০টির মধ্যে পাঁচ, ওড়িশায় ২১টির মধ্যে পাঁচ, ঝাড়খন্ডের ১৪টির মধ্যে তিনটিতে ভোটগ্রহণ হয়। পাশাপাশি ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের একটি এবং লাদাখ লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয় সোমবার। জম্মু-কাশ্মীরের বারমুলা লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে পঞ্চম দফায়।
এই দফার নির্বাচনে নজরে ছিলেন- ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও দলটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল গান্ধী। রায়বেরিলি আসন থেকে এবার রাহুলকেই প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। তবে এই আসনে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে টানাপড়েন দেখা গিয়েছিল।
গান্ধী পরিবারের 'দুর্গ' বলে পরিচিত এই রায়বেরিলি। ২০০৪ সাল থেকে রায়বেরিলি থেকে একটানা পাঁচবার (২০০৬ সালের উপনির্বাচন-সহ) লোকসভা ভোটে জিতেছেন সোনিয়া গান্ধী। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলিতে জিতে আসার পরই সোনিয়া ঘোষণা দিয়েছিলেন শারীরিক কারণে আর তার পক্ষে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ভোটে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তাই কেন্দ্রে কংগ্রেস কাকে প্রার্থী করে, সে দিকেই নজর ছিল।