হামলা আরও জোরদার করায় ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বে খারকিভ অঞ্চলে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। রোববার শহরের উপকণ্ঠে জোড়া হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনও রুশ ভূখন্ডে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। গত ১০ মে থেকে চলে আসা হামলা মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। যদিও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার সেনা সদস্যদের এগোতে দিচ্ছে না বলে দাবি করেছে দেশটি। এদিকে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আরও প্যাট্রিয়ট সিস্টেম সরবরাহের আবেদন করছেন। তথ্যসূত্র : এএফপি
কিয়েভের একটি সূত্র দাবি করেছেন, রাশিয়ার ভূখন্ডে বেলগোরোদ অঞ্চল থেকে প্রথমে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এরপর একই লক্ষ্যবস্তুর ওপর দ্বিতীয় হামলা চালায় রাশিয়া। ফলে উদ্ধারকারী প্যারামেডিক্স ও পুলিশ বাহিনীর কয়েকজন সদস্য হতাহত হন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগেও ইউক্রেনে এমন 'ডাবল ট্যাপ' হামলার অভিযোগ উঠেছে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের শহর ও সমাজের মধ্যে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়ার এবং নিরীহ মানুষের হত্যার অভিযোগ করেছেন। তিনি খারকিভ অঞ্চলের সুরক্ষার জন্য আমেরিকায় তৈরি দুটি প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের প্রয়োজনের উলেস্নখ করেন। সেগুলো হাতে পেলে পরিস্থিতির মৌলিক পরিবর্তন ঘটবে বলে তিনি মনে করেন। তার মতে, বাকি বিশ্ব রাশিয়ার সন্ত্রাস বন্ধ করতে পারে। নেতৃস্থানীয় রাজনীতিকদের মধ্যে সেই সদিচ্ছার অভাব দূর করতে হবে।
জেলেনস্কির দাবি, গত সপ্তাহজুড়ে খারকিভ অঞ্চলে প্রতিরক্ষা কাঠামো আরও মজবুত করা হয়েছে। গত শুক্রবার সংবাদ সংস্থা 'এএফপি'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অবশ্য স্বীকার করেন, রুশ বাহিনী উত্তর-পূর্ব সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনের ভূখন্ডের পাঁচ থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে।
এদিকে, ইউক্রেনও রাশিয়ার ভূখন্ডে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী, রোববার রাতে ইউক্রেনের ৬১টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। এমন হামলায়, বিশেষ করে জ্বালানি অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
দক্ষিণের ক্রাসনোদার অঞ্চলে একটি শোধনাগারের ওপর ছয়টি ড্রোন ভেঙে পড়ার পর কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। গত তিন সপ্তাহে সেই এলাকার শোধনাগার ও সামরিক ক্ষেত্রের ওপর দ্বিতীয়বার হামলা চালানো হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউক্রেনীয় সূত্র জানিয়েছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন বলেছেন, খারকিভ থেকে রুশ ভূখন্ডে হামলা বন্ধ করতে 'বাফার জোন' সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
এদিকে, ইউক্রেনের নৌবাহিনী আরও সাফল্যের দাবি করছে। কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার 'বস্ন্যাক সি ফ্লিট'-এর একটি মাইনসুইপার জাহাজ ধ্বংস করেছে তারা। 'টেলিগ্রাম' পস্ন্যাটফর্মে এক ছবি প্রকাশ করে সেই জাহাজ ধ্বংসের খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেই বার্তায় ইউক্রেনের নৌবাহিনী সেই সাফল্যের নেপথ্যে 'শপথ নেওয়া ভাইদের' অবদানও স্বীকার করেছে।