রাহুল ভোট দেবেন কেজরিকে আর কেজরি রাহুলকে
প্রকাশ | ২০ মে ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ভারতের 'ইনডিয়া জোট'র পথচলা কতটা মসৃণ হবে? এত পরস্পর বিরোধিতা নিয়ে আদৌ জোট সমীকরণ বজায় রাখা সম্ভব? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু শনিবার দিলিস্নর নির্বাচনী জনসভা থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বুঝিয়ে দিলেন- ভারতে ইনডিয়া জোটের পথ মসৃণই হবে। সেটা বোঝাতে নিজের উদাহরণও টেনেছেন। দিলিস্নর জনসভায় রাহুল বলেন, 'আমি নিজে এবার আম আদমি পার্টিকে (আপ) ভোট দেব। আর অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেবেন কংগ্রেসকে ভোট।' তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ, ইনডিয়ান এক্সপ্রেস
উলেস্নখ্য, আগামী ২৫ মে লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে ভোটগ্রহণ হবে দিলিস্নতে। রাজধানী দিলিস্নতে আসন নিয়ে সমঝোতা করেছে আপ-কংগ্রেস। কংগ্রেস দিলিস্নর সাতটি লোকসভা আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থী দিয়েছে। বাকি চার কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে আপ।
রাহুলের নিজেদের ভোট যে কেন্দ্র, দিলিস্নর সেই কেন্দ্রটি এবার জোট সূত্র অনুযায়ী গেছে আপের ভাগে। আর অরবিন্দ কেজরিওয়াল যেখানের ভোটার, সেটা গেছে কংগ্রেসের ভাগে। ফলে গান্ধী পরিবারের সদস্যরা সম্ভবত এবারই প্রথম কংগ্রেসের প্রতীকে ভোট দেবেন না। আবার কেজরিওয়ালও ভোট দেবেন না কংগ্রেসকে। রাহুল বোঝালেন, এতেও আপত্তি নেই তার। জোট স্বার্থই সবার আগে। রাহুলের কথায়, 'কেজরিওয়াল কংগ্রেসের বোতাম টিপে ভোট দেবেন এবং আমি আপ প্রার্থীর বোতাম টিপে ভোট দেব।' একই সঙ্গে দিলিস্নর সাতটি আসনে জয় নিশ্চিত করতে আপ এবং কংগ্রেস কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।
পাশাপাশি, দিলিস্নতে বক্তৃতা করার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেছেন রাহুল। মোদির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন। রাহুল জানিয়েছেন, ভারতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্ক করতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি হতে রাজি তিনি। তার কথায়, 'আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে যখন খুশি এবং যেখানে খুশি বিতর্ক করতে প্রস্তুত। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে, তিনি আসবেন না।' তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি যদি কোনো দিন তার সঙ্গে বিতর্কে যোগ দিতে রাজি হন, তা হলে তিনি তাকে পুঁজিবাদ, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং কৃষকদের সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করবেন।
মোদিকে আক্রমণ করে রাহুল আরও বলেন, 'তিনি মাত্র ২০-২৫ জনের জন্য কাজ করেছেন। আমি চাঁদনি চকের ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাই, মোদি আপনাদের জন্য কী করেছেন? জিএসটি, নোটবন্দি এবং অন্যান্য কর ছোট ব্যবসাগুলোকে প্রভাবিত করেছে। অন্যদিকে, আদানি এবং আম্বানির কোটি কোটি রুপি মাফ করা হয়েছে। রেল এবং অন্যান্য সরকারি ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে।'