রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

আবারও বাগ্‌যুদ্ধে ট্রাম্প-বাইডেন

'ট্রাম্পের মস্তিষ্ক বিকৃত, গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বাইডেন'
যাযাদি ডেস্ক
  ২০ মে ২০২৪, ০০:০০
আবারও বাগ্‌যুদ্ধে ট্রাম্প-বাইডেন

আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বাগ্‌যুদ্ধ দেখা গেল। শনিবার জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বাইডেন বলেন, ট্রাম্প একজন 'বিকৃত মস্তিষ্কের' মানুষ। অন্যদিকে, রোববার টেক্সাসের ডালাসের একটি অনুষ্ঠানে বাইডেনকে 'জটিল ও মার্কিন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি' বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তথ্যসূত্র : এএফপি, রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মার্কিন রাজনীতিতে শক্তিশালী 'ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন'র (এনআরএ) সমর্থন পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার হাজার হাজার এনআরএ সদস্যের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, 'আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে প্রেসিডেন্ট হলেন বাইডেন। এই ডেমোক্রেট নেতার মধ্যে ভালো কিছু নেই।'

এদিকে, জর্জিয়ার একটি অনুষ্ঠানে জো বাইডেন বলেন, 'আমাদের গণতন্ত্র ঠিক পথেই রয়েছে।' ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'আমার প্রতিপক্ষ কোনোভাবেই এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উপযুক্ত নন। তিনি এরই মধ্যে হেরে গেছেন। ট্রাম্প কেবল ২০২০ সালে হেরে যাওয়ার কষ্টেই আচ্ছন্ন নন, আসন্ন নির্বাচনেও পরাজয়ের ভয়ে রয়েছেন।'

বাইডেন আরও বলেন, 'ট্রাম্প আমেরিকার নেতৃত্ব দিতে নয়, প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দৌড়াচ্ছেন। আমরা তাকে প্রেসিডেন্ট হতে দিতে পারি না। ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। তাই প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে আমাদেরই জিততে হবে এবং তা আমার জন্য নয়, আমেরিকার জন্য।'

'ভোটে প্রভাব ফেলবে না মার্কিন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ'

এদিকে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার আভাস দিয়েছে বিভিন্ন জরিপগুলো। তারপরও গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে মার্কিন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না বলে জোর দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টারা। শনিবার আটলান্টার 'মার হাউসে' এক বৈঠকে এ কথা বলেন উপদেষ্টারা।

বাইডেনের প্রচারণার কর্মকর্তারা মনে করেন, বিক্ষোভকারীরা মূলত ছোট একটি গোষ্ঠী। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় উলেস্নখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না তারা। তাদের মতে, গাজার পরিস্থিতি নয়, বরং অর্থনীতি ও অন্য বিষয়গুলো তরুণ ভোটারদের মধ্যে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

তবে কিছু ডেমোক্রেট নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, বাইডেনের গাজা যুদ্ধ নীতির কারণে দলের ভেতরে বিরোধিতা বাড়ছে যা গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে নির্বাচনী ফলকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে যেসব রাজ্যে ভোটের ব্যবধান খুব কম।

বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা গাজার পরিস্থিতি এবং ক্যাম্পাসের বিক্ষোভ নিয়ে সচেতন। কিন্তু তাদের মতে, আর্থিক এবং অন্যান্য ঘরোয়া বিষয়গুলোই তরুণ ভোটারদের কাছে প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখা যাচ্ছে। তাদের মতে, তরুণ ভোটারদের কাছে আবাসন খরচ, মুদ্রাস্ফীতিই এখন শীর্ষ ইসু্য, গাজা যুদ্ধ নয়। হার্ভার্ডের সাম্প্রতিক এক জরিপ তুলে ধরে কর্মকর্তারা বলেন, কর, বন্দুক সহিংসতা, বেকারত্ব ইসু্যর পর ১৫তম স্থানে রয়েছে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের বিষয়টি।

অন্যদিকে, নতুন এক বুথ ফেরত জরিপে দেখা গেছে, গাজার যুদ্ধ ও মার্কিন ক্যাম্পাসের বিক্ষোভ মোকাবিলায় বাইডেনের ভূমিকায় বিভক্ত হয়ে গেছেন ডেমোক্রেটরা। ৪৪ শতাংশ নিবন্ধিত ডেমোক্রেট বাইডেনের সংকট মোকাবিলার দক্ষতায় অসন্তুষ্ট। ৫১ শতাংশ বিক্ষোভ মোকাবিলার ভূমিকায় অসন্তুষ্ট।

তরুণ ভোটাররা এখনো বাইডেনকে সমর্থন করেন। তবে ২০২০ সালের তুলনায় সমর্থন উলেস্নখযোগ্যভাবে কমেছে। মার্চে আরেক জরিপে দেখা গেছে, ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সি মার্কিনিদের মাত্র তিন শতাংশ ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেনকে পছন্দ করেছেন। বাকিরা অন্য প্রার্থীকে সমর্থন করেন বা কেউ ভোট দেবেন কিনা নিশ্চিত নয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে