রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

খারকিভে হামলা আরও তীব্র করবে রাশিয়া, শঙ্কা ইউক্রেনের

চীনকে সুইজারল্যান্ডে শান্তি সম্মেলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জেলেনস্কির

প্রকাশ | ১৯ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি
ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভে হামলা আরও তীব্র করবে রাশিয়া- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাছাড়া পশ্চিমারা দ্রম্নত সমাধান চাইলেও কিয়েভ কেবল 'ফেয়ার পিস' গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি। শুক্রবার এমন সতর্ক বার্তা দিয়েছেন দেশটির এক শীর্ষ কমান্ডারও। তাদের এই সতর্কবার্তা এমন সময় এলো, যখন এই অঞ্চলের আশপাশে একটি 'বাফার জোন' তৈরি করছে রাশিয়া। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, এএফপি খারকিভের উত্তরে শুক্রবার ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। ওইদিন অঞ্চলটির ১০ কিলোমিটারের বেশি এলাকায় প্রবেশ করে তারা। ফলে সেখানে অবস্থান নেওয়া অসংখ্য ইউক্রেনীয় সেনা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রায় ২৭ মাস ধরে এই লাইনে রুশ সেনাদের প্রতিরোধ করে রেখেছিল তারা। কর্নেল-জেনারেল অলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেছেন, 'এই হামলার কারণে যুদ্ধক্ষেত্রের বিস্তৃতি বেড়ে এখন প্রায় ৭০ কিলোমিটার হয়েছে। আমাদের সেনা মোতায়েনের অবস্থা দেখে নির্ধারিত সময়ের আগেই আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া।' মেসেজিং অ্যাপ 'টেলিগ্রামে' প্রকাশ করা একটি বিবৃতিতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, 'একটি ভারী যুদ্ধ হতে যাচ্ছে নিশ্চিত এবং শত্রম্নরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।' যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অবস্থা অন্তত সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে। ইউক্রেনের সেনা সংকট ও কয়েক মাস ধরে দেশটিতে পশ্চিমাদের অস্ত্র সরবরাহ না আসায় যুদ্ধক্ষেত্রে তেমন কোনো অগগ্রতি করতে পারছে না ইউক্রেন। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পূর্ব ইউক্রেনে ছোট ছোট এলাকা দখলের মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রে ধীরে ধীরে অগ্রগতি করছে রুশ বাহিনী। চীনে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন বলেছিলেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোর সুরক্ষার জন্য ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি 'বাফার জোন' তৈরি করছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ শহর দখল করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন এই অঞ্চলটি 'বাফার জোন' পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত নয়। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চীন এবং গেস্নাবাল সাউথের দেশগুলোকে আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডে একটি শান্তি সম্মেলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার এএফপি'র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এই আহ্বান জানান। সুইস সরকার ঘোষণা করেছে, তারা জুনের মাঝামাঝি ইউক্রেনের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করবে। তবে রাশিয়া এতে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। চীনের উপস্থিতি ঘিরে অনিশ্চয়তা রয়েছে উলেস্নখ করে সুইস সরকার বলেছে, সম্মেলনের আগে 'অনেক কাজ' করতে হবে। জেলেনস্কি বলেন, চীনা নেতারা বিশ্বাস করেন, 'যদি রাশিয়া যুদ্ধে হেরে যায় এটি আমেরিকার জন্য একটি বিজয়।' তিনি বলেন, 'এটি পশ্চিমাদের জন্য একটি বিজয় এবং তারা উভয়ের মধ্যে একটি ভারসাম্য খুঁজে পেতে চায়। সে জন্য আমি চীনকে শান্তি সম্মেলনে দেখতে চাই।'