রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুনে পুড়ে ১১ মুসলিস্ন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় মুসলিস্নরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে এক ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটায়। পুলিশের ভাষ্য, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসলিস্ন আটকা পড়েন।
উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলার সূত্রপাত। পুলিশ বলেছে, তারা এ ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সি সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বিরোধের অংশ হিসেবে এ ঘটনা ঘটানোর কথা স্বীকার করেছে সন্দেহভাজন ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির দাবি, সে মসজিদের ভেতরে থাকা পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মুসলিস্নদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশী ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
কানো ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন লাগার পরপরই তাদের ডাকা হয়নি, আরও আগে জানানো হলে তারা আরও দ্রম্নত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতেন। কানো ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র বলেছেন, স্থানীয়রা আগুন নেভানোর পরই তাদের জানানো হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, 'এমন পরিস্থিতিতে লোকদের আমাদের কল করার কথা ছিল। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা লোকেশন থেকে কোনো কল পাইনি।'
তথ্যসূত্র : বিবিসি
Google News ফিড অনসরণ করুন
