রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

জাবালিয়ায় হামাসের শক্ত ঘাঁটিতে প্রবেশের দাবি ইসরাইলের

যাযাদি ডেস্ক
  ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০
জাবালিয়ায় হামাসের শক্ত ঘাঁটিতে প্রবেশের দাবি ইসরাইলের

ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার জাবালিয়া শহরের কেন্দ্রস্থলে হামাসের শক্ত ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে ইসরাইল। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সেখানে ইসরাইলি ট্যাংকগুলো ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও অন্য প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। সেগুলোকে লক্ষ্য করে ট্যাংকবিধ্বংসী রকেট এবং বোমা হামলা চালিয়েছেন প্রতিরোধযোদ্ধারা। এদিকে গাজার দক্ষিণে রাফাহ শহরে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তবে শহরটিতে কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি সেনারা। ফিলিস্তিনি বাসিন্দা এবং প্রতিরোধযোদ্ধাদের তরফে এই তথ্য জানা গেছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি ভূখন্ডে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল। তবে আট মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে আশানুরূপ অগ্রগতি করতে পারেনি তারা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে নির্মূল করার যে প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলেন, সে লক্ষ্যও এখনো পূরণ হয়নি।

গাজা উপত্যকায় শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডস এবং তার মিত্র ইসলামিক জিহাদ। উভয় গোষ্ঠীই তাদের ভারী সুরক্ষিত সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে আক্রমণ চালাচ্ছে। তবে গাজার নতুন যুদ্ধক্ষেত্র এখন রাফাহ শহর। প্রাথমিকভাবে শহরটির এসব সুড়ঙ্গই এখন ইসরাইলের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছেন, 'আমরা হামাসকে পরাজিত করছি।' রাফাহতে আরও সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করার কথা জানিয়েছিলেন গ্যালান্ত। এর প্রতিক্রিয়ায় হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি জানিয়েছেন, গোষ্ঠীটি 'সব উপায়ে' তাদের জনগণকে রক্ষা করবে।

ইসরাইল বলেছে, ৭ অক্টোবরের হামলার সময় অপহৃত হওয়া জিম্মিদের সঙ্গে হামাসের চারটি ব্যাটালিয়ন এখন রাফাহতে অবস্থান করছে। তবে এই শহরে হামলা পরিচালনা না করার জন্য আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে ইসরাইল। সেখানে হাজার হাজার বাস্তুচু্যত ফিলিস্তিনি বেসামরিক আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে ইসরাইলের অভিযানের মুখে গত সপ্তাহে রাফাহ থেকে অন্তত ছয় লাখ ফিলিস্তিনি অন্যত্র চলে গেছেন। একইভাবে উত্তর গাজা থেকেও সরে যাচ্ছেন বহু ফিলিস্তিনি। এর আগে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে