রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ১৬ শ্রীলংকান

প্রকাশ | ১৭ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নিয়ে এ পর্যন্ত শ্রীলংকার ১৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। বুধবার শ্রীলংকার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা তেনাকুন বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রমিথা বলেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, গত বছর থেকে শ্রীলংকার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া শুরু করে এবং এ পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনীর মোট ২৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে শ্রীলংকা ত্যাগ করেছে। নিহত ১৬ জন এই ২৮৮ জনের মধ্যেই পড়ে। অবসরপ্রাপ্ত এই সেনারা কোন্‌ পক্ষে যোগ দিয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে তা স্পষ্ট করেননি প্রমিথা। তবে শ্রীলংকায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা গামিনি ওয়ালেবোদা জানিয়েছেন, সাবেক এই সেনাসদস্যদের অধিকাংশই রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা পেনাকুন বলেন, যুদ্ধে সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনের সরকারের সঙ্গে শ্রীলংকার সরকারের কোনো চুক্তি হয়নি। তাই যে চক্রটি সেনাদের রিক্রুট করছে, তারা মানব পাচারকারী। শ্রীলংকার সরকার এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক সেনাসদস্যদেরও মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। 'এটি একটি স্পর্শকাতর ইসু্য। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই আমাদের বন্ধু। যেসব নাগরিক সেখানে রয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা দু'দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি।' শ্রীলংকার উপ-প্রধানমন্ত্রী সেই সঙ্গে নাগরিকদের রাশিয়া ও ইউক্রেন ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনেরও আহ্বান জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে শ্রীলংকার দুইজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন সাবেক মেজর জেনারেল। এই দু'জনের বিরুদ্ধেই রাশিয়ায় ভাড়াটে সেনা পাঠানো চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। গত বছর একই অভিযোগ করেছিল দক্ষিণ এশিয়ার হিমালয় রাষ্ট্র নেপাল। দেশটির সরকার জানিয়েছিল, মানব পাচারকারীরা নেপালের তরুণদের 'টার্গেট' করছে এবং তাদের রাশিয়া নিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধে ১৯ জন নেপালি নাগরিক নিহত হয়েছে বলেও দাবি করেছিল কাঠমান্ডু। সূত্র : সিএনএন