মোদি কেন, কেউ পারবে না সংবিধানে হাত দিতে

ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে জিতে দেশের সংবিধান পাল্টাতে চায় বিজেপি। কিন্তু তাদের এই খায়েশ কখনোই পূরণ হবে না। ওড়িশার বলাঙ্গিরে বুধবার নির্বাচনী সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, বিজেপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে বলছি, নরেন্দ্র মোদি কেন, বিশ্বের কোনো শক্তিরই ভারতের সংবিধানে হাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এ সময় রাহুল আরও বলেন, মুখে গরিব-প্রীতির কথা বললেও নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ আদতে নিজেদের ঘনিষ্ঠ ধনকুবেরদেরই সব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। তথ্য সূত্র : এবিপি নিউজ লোকসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে থেকেই '৪০০ পার' আসনের স্স্নোগান তুলেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিসহ বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা দাবি করেছিলেন, এবার দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে সংবিধান বদল করা হবে। হিন্দু রাষ্ট্র হবে ভারত। সেই দাবিই এখন কংগ্রেসসহ বিরোধীদের অন্যতম অস্ত্র। ওড়িশায় নির্বাচনী জনসভায় রাহুল বলেন, 'ভারতের গরিব, দলিত, পিছিয়ে পড়া সমাজ, আদিবাসী, সংখ্যালঘু, কৃষক ও শ্রমিককে অধিকার দিয়েছে সংবিধান। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই প্রথম কোনো দল বলছে, তারা ক্ষমতায় গেলে সংবিধান ধ্বংস করে দেবে। বিজেপির বড় নেতারা নিয়মিত এ কথা বলে যাচ্ছেন। প্রতিটি নির্বাচনী সভায় রাহুল অভিযোগ করে যাচ্ছেন- তৃতীয়বার দিলিস্নর ক্ষমতা দখল করলে সংখ্যালঘুসহ কোটা সংরক্ষণ ব্যবস্থাটাই তুলে দেবেন মোদি-শাহরা। তিনি বলেন, গান্ধী ও জওহরলাল নেহরু- দলিত, আদিবাসী এবং পিছিয়ে পড়া অংশকে কোটা সুবিধা দিয়েছিলেন। বিজেপির বড় নেতারা এখন বলছেন সংরক্ষণ কোটা বাতিল করে দেবেন। একবার আপনারা (বিজেপি নেতৃত্ব) সংবিধান ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে দেখুন, কংগ্রেস ও দেশের মানুষ আপনাদের কী করে! রাহুলের অভিযোগ, ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী 'গরিব-দরদি' সাজার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আদতে নিজেদের ঘনিষ্ঠ ধনকুবেরদের ঋণ মওকুফ করে সুবিধা দিচ্ছে এই সরকার। অথচ কৃষক, ছাত্রছাত্রীরা ঋণ পাচ্ছেন না। এদিকে, ওড়িশায় বুধবার রোড শো এবং সমাবেশ করেছেন বিজেপি নেতা অমিত শাহও। তিনি বলেছেন, '৪০০ পার স্স্নোগান নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করেছেন। কিন্তু স্থায়ী ও শক্তিশালী সরকার ছাড়া দেশের অগ্রগতি অসম্ভব।'