ইসরাইলি আগ্রাসন

গাজায় নিহতের ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু :জাতিসংঘ

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ হাজার ১৭৩ ফিলিস্তিনি

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ধংসস্তূপে দাঁড়িয়ে স্বজনহারাদের আহাজারি
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের সহিংস হামলায় গত সাত মাসে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘ বলছে, নিহতের অর্ধেকের বেশি বেসামরিক নারী ও শিশু। জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। জাতিসংঘকে উদ্ধৃত করে এ খবর নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি লাগাতার হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ হাজার ১৭৩ ফিলিস্তিনি। গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। গাজা কর্তৃপক্ষ বরাবরই বলে আসছে, উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মঙ্গলবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে 'সবচেয়ে ব্যাপক'। তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত '৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু' রয়েছে। তিনি বলেন, তারপরও এটি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ হাজার হাজার মানুষ এখনো সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এ ছাড়া তাদের মধ্যে আরও বেশিসংখ্যক নারী এবং শিশু থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ নারী ও শিশুরাই সাধারণত বাড়িতে অবস্থান করে থাকেন। মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেন, সুতরাং 'নূ্যনতম পরিসংখ্যানগত গণনা' থেকে বলা যায়, গাজায় নিহতদের ৬০ শতাংশ নারী এবং শিশু হতে পারে। এদিকে, ফিলিস্তিনের পূর্ব রাফায় আরও গভীরে ট্যাংকবহর নিয়ে হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। মঙ্গলবার তারা রাফার দক্ষিণ সীমান্তের কয়েকটি এলাকায় পৌঁছায়। গাজায় গত কয়েক মাসের ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের এ শহরে ১০ লাখের বেশি বাস্তু্যচু্যত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ইসরাইলি হামলায় মুখে অনেকেই রাফা ছেড়ে পালাচ্ছেন। ইসরাইলের আন্তর্জাতিক মিত্র ও বিভিন্ন মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ইসরাইলকে রাফায় অভিযান বন্ধের আহ্বান জানানো হচ্ছে। সতর্ক করে বলা হচ্ছে, এ ধরনের হামলায় সেখানে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।