বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর

প্রকাশ | ১৩ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মুজাফফরাবাদে বিক্ষোভ
ভয়াবহ বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আজাদ কাশ্মীর। শনিবার আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ ও অন্যান্য জেলায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৯০ জন কর্মকর্তা ও সদস্য। তথ্যসূত্র : : জিও টিভি, এনডিটিভি পাকিস্তানের জিও নিউজসহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে মূল্যস্ফীতি, উচ্চ কর আদায় এবং বিদু্যৎ সংকটের জেরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় আজাদ কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায়। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল 'জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি'র নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ শিগগিরই স্বাধীনতাকামী বিক্ষোভে রূপ নেয়। গত শুক্রবার আজাদ কাশ্মীরজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি। সেই কর্মসূচি থেকে কয়েক ডজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় শনিবার ফের তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। মুজাফফরাবাদ ব্যবসায়ী সংঘের চেয়ারম্যান এবং জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির সদস্য শওকত নওয়াজ মির সাংবাদিকদের বলেন, 'অন্যান্য জেলা ও এলাকায় সংঘর্ষ হলেও মুজাফফরাবাদে সংঘর্ষের মাত্রা ছিল অনেক বেশি। আমরা দাবির সঙ্গে বলতে পারি যে, পুরো জেলায় কোথাও দোকান খোলেনি, রাস্তায় একটি গাড়ির চাকাও ঘোরেনি।' গত শনিবার পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে আজাদ কাশ্মীরের ইসলাম গড় এলাকায়। মিছিলে বাধা দেওয়ায় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে বুকে গুলি লাগে সহকারী উপ-পরিদর্শক আদান কুরায়েশির। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি। এছাড়া পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে টিয়ার শেল ও পাথর বিনিময়ের জেরে আহত হয়েছেন অনেকে। আহতদের মধ্যে পুলিশ ও বিক্ষোভকারী উভয়েই রয়েছেন। বিক্ষোভ দমনে আজাদ কাশ্মীরের আঞ্চলিক সরকার এই অঞ্চলের ১০ জেলার সবগুলোতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আন্দোলনের কেন্দ্র মুজাফফরাবাদের সঙ্গে অন্যান্য জেলার সংযোগ সড়কেও ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির নেতা শওকত নওয়াজ মির বলেন, 'আমরা আজাদ কাশ্মীরের জনগণকে বলতে চাই- এই বিক্ষোভ আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায় ও প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জনের লড়াই। আপনারা সবাই এতে যোগ দিন।'