আজকের যায়যায়দিন

দুর্নীতির মামলায় ৫০ দিন কারাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন ভারতের দিলিস্নর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশটির তিহার কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি। এর আগে একইদিন দুপুরে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্র্বর্তীকালীন জামিন পান তিনি। এদিকে, কারাগার থেকে মুক্তির পরপরই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ

শীর্ষ আদালতের এই রায়ের ফলে আগামী ১ জুন, অর্থাৎ লোকসভা ভোটের শেষ দফা পর্যন্ত জেলের বাইরে থাকবেন কেজরিওয়াল। দিলিস্নর আবগারি নীতিকান্ডে গত ২১ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। এরই মধ্যে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। আর এর মধ্যেই আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান এই নেতার মুক্তির অর্থ হলো- তিনি এখন তার দল এবং বিরোধী 'ইনডিয়া' জোটের নির্বাচনী প্রচারণাতেও অংশ নিতে পারবেন। চলমান নির্বাচনে দিলিস্নর সাতটি আসনে আগামী ২৫ মে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিন, তিহার কারাগার থেকে বেরিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেন কেজরিওয়াল। মাঝে গাড়ি থেকেই 'ভারত মাতা কী জয়' ধ্বনি দিতে দেখা যায় তাকে। শোনা যায়, 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ', 'বন্দে মাতরম' স্স্নোগানও। কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নিজের প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্যে কেজরিওয়াল 'শীর্ষ আদালতের সব বিচারককে' ধন্যবাদ জানান এবং আগামী ২৫ মে দিলিস্নতে নির্বাচনের দিকে নজর রেখে ভোটারদের 'স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর' আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই... আপনারা আমাকে আপনাদের আশীর্বাদ দিয়েছেন। আমি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, তাদের কারণেই আমি আপনাদের সামনে আছি। আমাদের দেশকে স্বৈরাচারের হাত থেকে বাঁচাতে হবে।'

অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, 'আমি বলেছিলাম, তাড়াতাড়ি আসব, এসে গেছি। চার হাজার বছরের পুরনো দেশ ভারত মহান দেশ। কিন্তু যখনই এই দেশে কেউ একনায়কতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করেছে, মানুষ তাদের কখনোই ছাড় দেয়নি। আজ দেশ সেই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।'

কেজরি বলেন, 'আমি শরীর, মন, সব দিক দিয়ে তার বিরুদ্ধে লড়ছি। তবে ১৪০ কোটি মানুষকে মিলে এই নৈরাজ্যকে হারাতে হবে। আমি মানুষের কাছে আবেদন করব, আমাদের সবাইকে মিলে এই দেশকে বাঁচাতে হবে।