শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১
বাইডেনকে জবাব

প্রয়োজন হলে ইসরাইল একাই যুদ্ধ চালিয়ে যাবে : নেতানিয়াহু

'ইসরাইলের কাছে এখন পর্যাপ্ত অস্ত্রের জোগান আছে'
যাযাদি ডেস্ক
  ১১ মে ২০২৪, ০০:০০
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, "ইসরাইল একাই দাঁড়াতে পারে। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা একাই যুদ্ধ চালিয়ে যাবো। দরকার হলে আমরা 'নখ' দিয়ে যুদ্ধ করব।" দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরুর আগে পরম মিত্র আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি আসার পর এমন মন্তব্য করলেন নেতানিয়াহু। তথ্যসূত্র : বিবিসি, এএফপি

গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) আমেরিকার সতর্কতা প্রত্যাখ্যান করতে ১৯৪৮ সালের যুদ্ধের কথা স্মরণ করেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, '৭৬ বছর আগে স্বাধীনতাযুদ্ধে অনেকেই আমাদের বিরুদ্ধে ছিল, ছিল অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা। সে সময় আমাদের কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্রও ছিল না। কিন্তু আমাদের মধ্যে প্রবল চেতনা, বীরত্ব ও ঐক্যের জোর থাকায় ওই যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম।' তিনি বলেন, 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেন, তবে চিন্তার কিছু নেই। ইসরাইলের কাছে এখন পর্যাপ্ত অস্ত্রের জোগান আছে। সঙ্গে আছে আমাদের অদম্য মনোবল। ঈশ্বরের সাহায্যে আমরা বিজয়ী হব।'

এদিকে, নেতানিয়াহুর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছেন, 'ইসরাইলের শত্রম্নদের পাশাপাশি মিত্রদেরও বোঝা উচিত যে, হুমকি-ধমকি দিয়ে আমাদের বশ করা যাবে না। বরং আমরা দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে দাঁড়াব ও আমাদের লক্ষ্য অর্জন করব।'

এর আগে বুধবার (৮ মে) ইসরাইলকে সতর্ক করে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, 'গাজার অন্যান্য অঞ্চলে মার্কিন বোমা নিক্ষেপের ফলে বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। এখন ইসরাইলি সেনাবাহিনী যদি রাফাতে হামলা চালায়, তবে আমি অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেব। বিশেষ করে, হামলা চালানোর জন্য যেসব অস্ত্র ও কামানের গোলা ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো সরবরাহ করব না।'

অন্যদিকে, বাইডেনের হুঁশিয়ারির কোনো তোয়াক্কা না করেই রাফাহতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। বৃহস্পতিবার (৯ মে) শহরটিতে ট্যাংক মোতায়েন করার পাশাপাশি সেখানে অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। রাফাহকে হামাসের শেষ ঘাঁটি উলেস্নখ করে সেখানে এই অভিযান শুরু করে তারা।

গত বৃহস্পতিবার সকালে রাফাহতে ভারী গোলাবর্ষণ হয়েছে। পরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা হামাসের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। মিসরীয় সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ অসহায় ফিলিস্তিনি। তাদের এখন আর কোথাও যাওয়ার মতো জায়গা নেই। গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই, যেখানে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালায়নি। এখন যদি ইসরাইল রাফাহতে পূর্ণ মাত্রায় হামলা চালায়, তবে ভয়াবহ সংকট দেখা দেবে।

এরই মধ্যে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ক্রমাগত বোমাবর্ষণের সঙ্গে ইসরাইলি ট্যাংকগুলো লোকালয়ের কাছাকাছি চলে আসায় সোমবার (৬ মে) থেকে প্রায় এক লাখ মানুষ ফিলিস্তিনি রাফাহ থেকে পালিয়েছে। শহরটিতে খাদ্য ও জ্বালানি ক্রমেই শেষ হয়ে যাচ্ছে, কারণ ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিং দিয়ে এ ধরনের পণ্য ঢুকতে দিচ্ছে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে