বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১

বৈশ্বিক সংঘাতের সুযোগ দেওয়া হবে না : পুতিন

যাযাদি ডেস্ক
  ১০ মে ২০২৪, ০০:০০
বৈশ্বিক সংঘাতের সুযোগ দেওয়া হবে না : পুতিন

পশ্চিমা দেশগুলোকে বৈশ্বিক সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টির জন্য অভিযুক্ত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, কাউকেই বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে হুমকি দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের বার্ষিকীতে তিনি এই সতর্কতা উচ্চারণ করেন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স

রুশ প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার বৈশ্বিক সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টির জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, কাউকে বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে হুমকি দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।

টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ সেনারা ইউক্রেনের পশ্চিমা-সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে সাফল্যের সঙ্গে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিন 'অহংকারী' পশ্চিমা অভিজাত দেশগুলোকে নাৎসি জার্মানিকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে সোভিয়েত ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ভুলে যাওয়ার এবং বিশ্বজুড়ে সংঘাত সৃষ্টি করার অভিযোগ এনেছেন।

পুতিন বৃহস্পতিবার মস্কোর রেড স্কোয়ারে বলেন, 'আমরা জানি, এ ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার অত্যধিকতা কোন দিকে নিয়ে যায়। রাশিয়া বিশ্বব্যাপী সংঘর্ষ প্রতিরোধে সবকিছু করবে। তবে একই সঙ্গে আমরা কাউকে আমাদের হুমকি দেওয়ার সুযোগ দেব না। আমাদের কৌশলগত বাহিনী সবসময় যুদ্ধের প্রস্তুতির অবস্থায় থাকে।'

২০২২ সালে রুশ সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনে পাঠিয়েছিলেন পুতিন। সেই থেকে এই যুদ্ধ এখনো চলছে। দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধকে তিনি পশ্চিমের সঙ্গে (রাশিয়ার) লড়াইয়ের অংশ হিসেবে নিয়েছেন।

ইউক্রেন ও পশ্চিমারা বলছে, পুতিন সাম্রাজ্যবাদী ধাঁচে ভূখন্ড দখলের কাজে নিয়োজিত। তারা চলমান এই যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত করার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে। যদিও বর্তমানে ক্রিমিয়া উপদ্বীপসহ ইউক্রেনের প্রায় ১৮ শতাংশ এবং পূর্ব ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে রাশিয়া।

রাশিয়া বলেছে, এসব ভূখন্ড এক সময় রাশিয়ান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এবং এখন এগুলো আবারও রাশিয়ার অংশ।

উলেস্নখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ২৭ মিলিয়ন লোককে হারিয়েছিল। যার মধ্যে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষও ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাৎসি বাহিনীকে বার্লিনে হটিয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানেই যেখানে হিটলার আত্মহত্যা করেছিলেন।

এরপর ১৯৪৫ সালে রাইখস্ট্যাগের ওপর লাল সোভিয়েত বিজয় ব্যানার উত্থাপিত হয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে