আজকের যায়যায়দিন

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা নিয়ে সমঝোতার ক্ষেত্রে ইসরাইলকে আর কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় বলে জানিয়েছে হামাস। সাত মাস ধরে চলমান যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টায় মিসরের কায়রোয় আলোচনা অব্যাহত থাকার মধ্যে এই মনোভাবের কথা জানাল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। তথ্যসূত্র : রয়টার্স

গাজা ভূখন্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। টানা সাত মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এমন অবস্থায় গাজায় যুদ্ধ বন্ধে বাড়ছে বৈশ্বিক চাপ। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। তবে ইসরাইল বেঁকে বসায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বুধবার গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফাহতে ট্যাংক থেকে গোলা নিক্ষেপ ও বিমান হামলা করেছে ইসরাইল। সেই সঙ্গে হুমকি দিয়েছে বড় ধরনের অভিযান শুরু করার। মঙ্গলবার মিসরের সঙ্গে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং থেকে শহরটিতে প্রবেশ করে ইসরাইলি বাহিনী। এতে বাইরে থেকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ পথটি বন্ধ হয়ে যায় এবং আহত ফিলিস্তিনিদের বাইরে পাঠানোর একমাত্র পথও এটি।

এক বিবৃতিতে কাতারে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইজ্জাত এলুরেশিক বলেন, তারা গত সোমবার গ্রহণ করা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বাইরে যাবেন না। প্রস্তাবে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে গাজায় জিম্মি ইসরাইলিদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে মুক্তি এবং ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা আছে। ইজ্জাত বলেন, ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে আন্তরিক নয় এবং রাফাহতে আগ্রাসন চালানো ও সীমান্ত ক্রসিং দখলের ঘটনা আড়াল করার মাধ্যম হিসেবে সমঝোতাকে ব্যবহার করছে তারা।

হামাসের এ বক্তব্য নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইল। গত সোমবার ইসরাইল ঘোষণা করে, হামাসের গ্রহণ করা তিন দফার ওই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মানা সম্ভব নয়। কারণ, এটির শর্তগুলো খুব দুর্বল এবং তা কার্যকর করার মতো নয়।

দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় মঙ্গলবার থেকে কায়রোয় বৈঠকে বসেছেন হামাস, ইসরাইল, আমেরিকা, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে মিসরের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত 'আলুকাহেরা' টিভি জানায়, মঙ্গলবার সারা দিন ও রাতেও আলোচনা করেছেন প্রতিনিধিরা।

এরই মধ্যে মঙ্গলবার আমেরিকা জানায়, হামাস তার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সংশোধন করেছে এবং এটি পর্যালোচনার মাধ্যমে সমঝোতা প্রচেষ্টায় চলা অচলাবস্থা দূর করা যেতে পারে। হামাসের সর্বশেষ বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা আগেও ওয়াশিংটন বলেছে, সমঝোতা থেকে খুব বেশি দূরে নয় দুই পক্ষ।