দক্ষিণ চীনের ইউনান প্রদেশের জেনসিয়ং কাউন্টির একটি হাসপাতালে হঠাৎ ছুরি হাতে ঢুকে পড়ে এক ব্যক্তি। সামনে যাকে পায় তাকেই এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় ছুরির আঘাতে ১০ জনের মৃতু্য হয়েছে। এ হামলায় আহত অন্তত ২১ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
হংকংভিত্তিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, পুলিশ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে কি না তা এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম হামলার ধরন উলেস্নখ করেনি, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে- হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একজন ছুরি হাতে দৌড়াচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা দ্য পেপারকে বলেছেন, এটি বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঘটেছে, হামলায় কতজন মারা গেছেন সেই সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তিনি আক্রমণ থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন এবং আহতদের মধ্যে ডাক্তাররাও রয়েছেন। রেড স্টার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রত্যক্ষদর্শীর ভিডিওতে দেখা গেছে, হাসপাতালের চারদিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। আহত ব্যক্তিরা একে অপরকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। কঠোর আগ্নেয়াস্ত্র আইনের কারণে চীনে এ ধরনের সহিংস অপরাধ, বিশেষ করে পাবলিক পেস্নসে অত্যন্ত বিরল।
যদিও আইনটি নাগরিকদের আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ব্যাপারে কঠোরভাবে বিধি-নিষেধ আরোপ করে, তবুও গত কয়েক বছরে ছুরিকাঘাতের সংখ্যা বেড়েছে।
গত আগস্টে ইউনানে মানসিকভাবে অসুস্থ এক ব্যক্তি ছুরি দিয়ে লোকদের আক্রমণ করার পর দুজন মারা যান এবং আরও সাতজন আহত হন। এর এক মাস আগে দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশে একটি কিন্ডারগার্টেনে ছুরিকাঘাতে ছয়জন নিহত ও একজন আহত হয়। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস