পরমাণু অস্ত্রের মহড়া চালানোর নির্দেশ দিলেন পুতিন
প্রকাশ | ০৭ মে ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
রাশিয়া এমন একটি সামরিক মহড়া চালাবে, যার মধ্যে কৌশলগত (নন-স্ট্র্যাটেজিক) পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও আমেরিকার ক্রমাগত হুমকির মুখে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে এই মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন। সোমবার এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিমা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে উসকানিমূলক হুমকির পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে রাশিয়া বারবার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছে। রাশিয়ার এই সতর্ক বার্তাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার জন্য পশ্চিমা বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা রাশিয়ার পারমাণবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো পরিবর্তন দেখতে পাননি।
রাশিয়া বলেছে, আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে বিশ্বকে পারমাণবিক শক্তিগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। আর এসব অস্ত্রের কিছু রাশিয়ার ভূখন্ডের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মস্কো কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি ও মোতায়েনসহ সামরিক মহড়া চালাবে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ??'মহড়া চলাকালীন কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের প্রস্তুতি এবং ব্যবহারের বিষয়গুলোর মহড়া চালানোর বিষয়ে কয়েক ধাপের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
দেশটির সাউদার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী, বিমান ও নৌবাহিনীও এই মহড়ায় অংশ নেবে। মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়ান ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তার উসকানিমূলক বিবৃতি ও হুমকির প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার আঞ্চলিক অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করাই এই মহড়ার লক্ষ্য।
এখন পর্যন্ত রাশিয়া ও আমেরিকাই বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র। বিশ্বের মোট ১২ হাজার ১০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মধ্যে ১০ হাজার ৬০০টির বেশি এই দুই দেশের অস্ত্র ভান্ডারে রয়েছে। তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে চীনের হাতে। এরপরই পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশের তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য।