কানাডায় শিখ নেতা নিজ্জর খুনের ঘটনায় ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০৫ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
হরদীপ সিং নিজ্জর
শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকান্ডের ঘটনায় তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে কানাডা পুলিশ। গ্রেপ্তারদের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। এরা তিনজনই কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আলবার্টার এডমন্টন শহরে বসবাস করেন। সেখান থেকেই এদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণির হত্যাকান্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগও আনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সবাই তিন থেকে পাঁচ বছর ধরে কানাডায় আছেন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকান্ডের ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে এবং পরে আরও গ্রেপ্তার ও অভিযোগ আনা হতে পারে। গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরের এক ব্যস্ত কার পার্কে মুখোশধারী বন্দুকধারীরা নিজ্জরকে (৪৫) গুলি করে হত্যা করে। এই হত্যাকান্ডের ঘটনা কানাডা ও ভারতের মধ্যে বড় ধরনের কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টি করে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেন, এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ভারতের সরকার জড়িত থাকতে পারে। তার এই মন্তব্যের পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নাজুক হয়ে পড়ে। দিলিস্ন জোরালোভাবে অভিযোগ অস্বীকার করে। পরে মার্কিন পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে হরদীপ হত্যার তদন্ত শুরু করে কানাডা। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে নিজেদের পৃথক রাষ্ট্র খালিস্তান বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ভারতীয় শিখদের একাংশ। সত্তরের দশকের শেষ থেকে আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের অভ্যন্তরে সেই আন্দোলন দমনে সফল হয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ভারতে থেকে আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপে গিয়ে স্থায়ী হওয়া খালিস্তানপন্থি শিখরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। হরদীপ সিং নিজ্জর ছিলেন কানাডার খালিস্তানপন্থি শিখদের সংগঠক ও আধ্যাত্মিক নেতা। ১৯৭৭ সালে তিনি ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলা থেকে দেশটিতে গিয়েছিলেন, পরে সেখানাকার নাগরিকত্বও অর্জন করেন। ভারতের অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন 'খালিস্তানি টাইগার ফোর্স' এবং 'শিখস ফর জাস্টিস'র কানাডা শাখার সংগঠক ও নেতা হওয়ার কারণে দিলিস্নর একজন তালিকাভুক্ত ফেরার ছিলেন হরদীপ। দুটি সংগঠনই ভারতে নিষিদ্ধ।