সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বেড়েছে

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সাংবাদিকদের আটক, স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমগুলোর ওপর দমন-পীড়ন এবং ভুল তথ্যের ব্যাপক প্রচারসহ সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর রাজনৈতিক আক্রমণ ২০২৩ সালে উলেস্নখযোগ্যভাবে বেড়েছে। 'রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস' (আরএসএফ) প্রকাশিত বার্ষিক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সাংবাদিকদের স্বাধীন ও মুক্তভাবে কাজ করার এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করার ক্ষমতার ওপর তৈরি করা সূচকে ১৮০টি দেশকে স্থান দেওয়া হয়েছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, আল-জাজিরা আরএসএফ-এর সূচকে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সামগ্রিক পতন এবং সাংবাদিক ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আরএসএফ-এর সম্পাদকমন্ডলীর পরিচালক অ্যান বোকান্ডে বলেন, 'আরএসএফ গণমাধ্যমের স্বায়ত্তশাসনের প্রতি সমর্থন ও সম্মানের উদ্বেগজনক পতন এবং রাষ্ট্র বা অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির চাপ বৃদ্ধি দেখেছে। রাষ্ট্র ও অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় ক্রমহ্রাসমান ভূমিকা পালন করছে। এই ক্ষমতাহীনতা কখনো কখনো আরও প্রতিকূল কর্মের সঙ্গে হাত মেলায়, যা সাংবাদিকদের ভূমিকাকে ক্ষুণ্ন করে, এমনকি হয়রানি বা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার মাধ্যমে গণমাধ্যমকে যান্ত্রিক করে ফেলা হয়।' আরএসএফ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় শতাধিক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে কমপক্ষে ২২ জন কর্মরত অবস্থায় নিহত হয়েছেন। সুদানে সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়েছে। দেশটিতে সহিংসতা ও গৃহযুদ্ধের ব্যাপারে স্বাধীন সংবাদ পরিবেশন রোধ করার জন্য ভয়াবহ প্রচেষ্টা চালানো হয়। সিরিয়ার সংবাদকর্মীদের অবস্থারও অবনতি হয়েছে। দেশটির যেসব সাংবাদিক পালিয়ে প্রতিবেশী জর্ডান, তুরস্ক ও লেবাননে আশ্রয় নিয়েছেন, সেখান থেকেও তাদের বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারাগার-ইসরাইল, সৌদি আরব, সিরিয়া ও ইরানে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা ও আটক অব্যাহত রয়েছে। গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১৪০ জন ছাড়িয়েছে এদিকে, ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর গত প্রায় সাত মাসে গাজায় নিহত সাংবাদিকদের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৪২ জনে। এছাড়া ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি আছেন আরও অন্তত ২০ জন সাংবাদিক। ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এই দিবসকে সামনে রেখে যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি করে শুক্রবার একটি বিবৃতি জরি করেছে গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তর। সেই বিবৃতিতে উলেস্নখ করা হয়েছে এসব তথ্য।