ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কোন আসন থেকে লড়বেন, তা নিয়ে ছিল অনেক জল্পনা। তবে শেষ মুহূর্তে দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীর ছেড়ে দেওয়া উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলি আসন থেকে লড়বেন তিনি। আগামী ২০ মে লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই ভোটে অংশ নিতে শুক্রবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন রাহুল। তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী বর্তমানে কেরালার ওয়ানাড় থেকে নির্বাচিত এমপি। এর আগে তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের আমেথি আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান।
রাহুল গান্ধী এবারও আমেথি থেকেই লড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত হয়, কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীর ছেড়ে দেওয়া আসন রায়বেরেলি থেকে লড়বেন তিনি। যদিও অনেকে ধারণা করেছিলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র এই আসন থেকে লড়তে পারেন। তবে তাকে রাজি করানো সম্ভব হয়নি বলে রাহুলই যাচ্ছেন মায়ের আসনে।
এদিকে, রাহুল গান্ধী আমেথি ছেড়ে দেওয়ায় সেখান থেকে মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন কিশোরী লাল শর্মা। তিনি গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
চলমান লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ৮০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস এককভাবে লড়ছে ১৭টি আসনে। উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের দল ও কংগ্রেসের জোটসঙ্গী সমাজবাদী পার্টি বাকি ৬৩ আসনে লড়ছে।
ভয়ে আমেথি ছেড়ে পালিয়েছেন
শাহজাদা : খোঁচা মোদির
এদিকে, ওয়ানাড়ের পর এবার রায়বেরেলিতে রাহুলের প্রার্থী হওয়া নিয়ে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'আমি আগেই বলেছিলাম, শাহজাদা ওয়ানাড়ে হারবেন। হারের ভয়েই ওয়ানাড়ে ভোট শেষ হতেই দ্বিতীয় আসনে প্রার্থী হয়ে গেলন।' শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে এক জনসভায় রাহুল গান্ধী খোঁচা দিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'আমি আগেই বলেছিলাম, (কেরালার) ওয়ানাড়ে পরাজয়ের ভয়ে রাজপুত্র নিজের জন্য অন্য আসন খুঁজছেন। এখন তাকে আমেথি থেকে পালিয়ে রায়বেরেলি আসন বেছে নিতে হয়েছে। এই নেতারা ঘুরে ঘুরে সবাইকে বলে, ডরো মৎ! ভয় পেও না! আমি তাদের ওই একই কথা বলব, 'ডরো মৎ! ভাগো মৎ! ভয় পেও না! পালিয়ে যেও না!'
মোদি আরও বলেন, 'কংগ্রেস এবার আরও কম আসনে জিতবে। আগেরবারের তুলনায় কম আসনে লড়ছে কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই আরও কম আসনে জিতবে। এরা নির্বাচনে জেতার জন্য লড়ছে না। এরা শুধু দেশকে ভাগ করার উদ্দেশে এই নির্বাচনকে ব্যবহার করছে।'