ইসরাইলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস

প্রকাশ | ০১ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গাজায় বেশকিছু জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির ইসরাইলি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। কায়রোয় সর্বশেষ আলোচনা শেষে কাতারে ফিরে মঙ্গলবার হামাস প্রতিনিধি দল বলেছে, 'প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা আমাদের মতামত জানব।' ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, হামাসকে জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে সম্ভাব্য হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেওয়া এবং ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তথ্যসূত্র : এএফপি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নংকেন যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবকে 'অসাধারণ উদার' বলে বর্ণনা করেছেন। একই সঙ্গে হোয়াইট হাউস প্রস্তাবে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কায়রোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। সৌদি আরবে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকে বিস্নংকেন সোমবার বলেছেন, তিনি আশাবাদী হামাস সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। একই বৈঠকে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌক্রি বলেছেন, 'প্রস্তাবে উভয় পক্ষের অবস্থান বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।' তিনি বলেন, 'আমরা আশাবাদী।' এদিকে, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব প্রতিনিধিরা ইসরাইল ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব নিরসনে দুই রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়ে কীভাবে এগোনো যায়, তা নিয়ে আলোচনার জন্য মিলিত হয়েছেন। তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিরোধী এবং ইসরাইল পূর্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়টিও নাকচ করে দিয়েছিল। তবে হামাসের চাওয়া এমন একটি চুক্তি, যার আওতায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা, বাস্তুচু্যত লোকজনকে নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে দেওয়া, জিম্মি ও বন্দি মুক্তি বিনিময়ে ঐকমত্য এবং গাজা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া। অন্যদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জিম্মিদের পরিবারের প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন। সোমবার দুই জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। ভিডিওতে তারা বেঁচে আছেন বলে দেখেছে তাদের পরিবার। এসব পরিবার জিম্মিদের মুক্তির জন্য জোর দাবি জানিয়েছে। উলেস্নখ্য, এর আগে নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ও ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তির বিনিময়ে ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। ওই সময় তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরাইলিকে হত্যা এবং ২৫০ জিম্মিকে আটক করে। এখনো তাদের কাছে ১২৯ জিম্মি আটক রয়েছেন।