গাজায় যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা, ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর জন্য যুদ্ধ-পরবর্তী রোডম্যাপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিয়ে আঞ্চলিক আলোচনার জন্য ফের মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন অ্যান্টনি বিস্নংকেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) বলেছে, 'সেক্রেটারি বিস্নংকেন গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি অর্জনের চলমান প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন, যা জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করবে। তার আলোচনায় বলা হবে, কীভাবে হামাসই ফিলিস্তিনি জনগণ এবং যুদ্ধবিরতির মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।' তথ্যসূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা, রয়টার্স
সোমবার সৌদি আরবে পৌঁছান অ্যান্টনি বিস্নংকেন। সেখান থেকে মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে যাবেন তিনি। এদিন রিয়াদে সৌদি আরবের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এছাড়াও কাতার, মিসর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। যে বৈঠকে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ অবসানের পর গাজা ভূখন্ড কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে বৃহৎ পরিসরে আলোচনা হবে।
গাজা পুনর্গঠনের কাজে ইউরোপ কীভাবে সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনার জন্যও আরব ও ইউরোপের দেশগুলোকে বিস্নংকেন একজোট করার চেষ্টা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজা পুনর্গঠন এবং পরিচালনা কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা কয়েক মাস ধরে চলছে এবং তা আরও বেশ কয়েক মাস ধরে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ব্যবস্থা সামনে আসেনি।
এদিকে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে নতুন করে তিনটি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার গাজার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন। রাতভর গাজা ও রাফাহ শহরে নতুন করে এই হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। অবরুদ্ধ রাফাহ শহরে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বেশিরভাগ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে শহরটিতে হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে পশ্চিমারা।