আলোচনা শুরুর উপায়ের খোঁজ

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ইসরাইল : দাবি হামাসের

হামাসের ২৫টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার দাবি ইসরাইলের

প্রকাশ | ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস, তাতে সাড়া দিয়েছে ইসরাইল। গোষ্ঠীর মুখপাত্র খলিল আল-হায়া শনিবার কাতার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিবৃতিতে খলিল আল-হায়া বলেন, 'গত ১৩ এপ্রিল মিসর ও কাতারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে (যুদ্ধবিরতির) যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল তাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দিয়েছে ইহুদি দখলদার শক্তি।' তিনি বলেন, ইসরাইলের প্রতিক্রিয়ার জবাব পাঠানোর আগে এটি পর্যালোচনা করবে হামাস এবং বিবেচনা শেষ হলে প্রতিক্রিয়া জানাবে।' তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা গত ১৩ এপ্রিল হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দেয়। তবে ইসরাইল বিরোধিতা করে। সর্বশেষ, গত শুক্রবার মধ্যস্থতাকারী মিসরের একটি প্রতিনিধি দল ইসরাইলে পৌঁছেছে স্থগিত হওয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বৈঠকের বিষয়ে জানান, ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং হামাস যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি ইসরাইলিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনার শুরু করার উপায় খুঁজছেন তারা। এই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরাইলের কাছে নতুন কোনো প্রস্তাব নেই। তবে তারা সীমিত যুদ্ধবিরতির বিষয়টি বিবেচনা করতে আগ্রহী, যেখানে ৪০ জন জিম্মির পরিবর্তে ৩৩ জনকে মুক্তি দেবে হামাস। এদিকে, হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা জানিয়েছেন, তারা ইসরাইলের পাঁচ বছর বা তারও বেশি মেয়াদে অস্ত্রবিরতিতে যেতে প্রস্তুত। এমনকি সশস্ত্র শাখা বিলুপ্ত করে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক দল হিসেবেও কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রস্তুত। গত বৃহস্পতিবার ১৭টি দেশের চিঠি প্রসঙ্গে প্রাথমিক এক প্রতিক্রিয়ায় হামাস নেতারা বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক চাপের কাছে তারা মাথা নত করবেন না। তবে কয়েক ঘণ্টা পরই তারা ফের বলেন, 'ফিলিস্তিনের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ যে কোনো প্রস্তাবকে হামাস স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।' বার্তা সংস্থা 'এপি'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের উপপ্রধান খলিল আল-হায়া বলেন, 'হামাস পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসরণ করে একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন ও আন্তর্জাতিক রেজলু্যশন অনুযায়ী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন মেনে এবং এমনটা হলে হামাসের সামরিক শাখা বিলুপ্ত করা হবে।' হামাসের ২৫টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার দাবি ইসরাইলের এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাসের ২৫টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার দাবি করেছে ইসরাইলি বাহিনী। শুক্রবার এই হামলার দাবি করেন ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তারা। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজাজুড়ে হামাসের অস্ত্রের ডিপো, উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি সেনারা আরও জানিয়েছে, ওই হামলায় অনেক ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বেশিরভাগ হামলা মধ্য গাজায় চালানো হয়েছে। সেখানে বিমান হামলা এবং স্থল অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। শুধু তাই নয়, হামাসের শিবিরে পাশাপাশি তাদের আটটি গাড়িতে হামলা করেছে ইসরাইলি সেনারা।