ধর্মীয় বিভাজনমূলক মন্তব্যের অভিযোগে অবশেষে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন-ইসি। মোদির মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে বিজেপিকে নোটিশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে। ২৯ এপ্রিলের মধ্যে দুই পক্ষকেই জবাব দিতে বলেছে ইসি। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ
বিজেপি ও কংগ্রেস উভয়ই একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ভাষণে মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় বা ভাষার ভিত্তিতে ঘৃণা ও বিভাজনের অভিযোগ তুলেছে।
সম্প্রতি হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেতা রাহুল মন্তব্য করেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কোন শ্রেণির হাতে কত সম্পদ আছে তা আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করে দেখবে।
সেই মন্তব্যের রেশ ধরেই গত রোববার রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় জনসমাবেশে মোদি বলেন, কংগ্রেস তার ইশতেহারে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অতীতে বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সবার আগে অধিকার মুসলমানদের। সেই কারণেই সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলমান এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়।
পরদিন সোমবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, 'কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে।
মোদির সেই মন্তব্যের নিন্দা করে সরব হয় কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো। এমনকি ১৭ হাজার ৪০০ জন সাধারণ নাগরিকও মোদির ধর্মীয় বিভাজনমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ইসির কাছে লিখিত অভিযোগ করে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার বিজেপিকে নোটিশ পাঠিয়েছে ইসি। ২৯ এপ্রিলের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আর রাহুলের বিরুদ্ধে ভাষা ও অঞ্চলের ভিত্তিতে ঘৃণা ও বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে ইসির দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, রাহুল ভোটের জন্য উত্তর ভারত-দক্ষিণ ভারত বিভাজন করেছেন। বিজেপি শিবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে কংগ্রেসকেও।