নির্বাচনে দুর্নীতি করেছিলেন ট্রাম্প
প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
একজন পর্নো তারকার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে তাকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় আইন ভঙ্গ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে দুর্নীতি করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঘুষ কেলেঙ্কারির ওই ঘটনায় সোমবার (২২ এপ্রিল) ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারির মামলার বিচারের শুনানির প্রথম দিন এ কথা বলেন নিউইয়র্কের প্রসিকিউটররা। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
শুনানিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও যৌন কেলেঙ্কারি লুকানোর অভিযোগ আনেন প্রসিকিউটররা। নিউইয়র্কের আদালতে শুরু হওয়া ঐতিহাসিক এ মামলার বিচারে সোমবার জুরিবোর্ডের সামনে প্রাথমিক আইনি যুক্তিতর্কে এক আইনজীবী ম্যাথিউ কোলাঞ্জেলো বলেন, এটি ছিল একেবারে নির্ভেজাল নির্বাচনী জালিয়াতি।
তথ্য গোপন রাখার বিনিময়ে গোপনে এমন অর্থ দেওয়া অবৈধ নয়। কিন্তু ম্যানহাটান ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কার্যালয় অভিযোগ করেছে, পর্নো তারকাকে দেওয়া অর্থকে ট্রাম্প অবৈধভাবে আইনি ব্যয় হিসেবে দেখাতে গিয়ে আইন ভঙ্গ করেছেন।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। আবার ওই অর্থের বিষয়টি গোপন রাখতে তিনি তার ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নেন।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া ফৌজদারি মামলায় ১৫ এপ্রিল ট্রাম্পের বিচার শুরু হয়েছে নিউইয়র্কের আদালতে। তিনিই প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। অবশ্য মামলায় আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প। একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতও বলছেন তিনি।
ট্রাম্পের পক্ষ সমর্থন করে তার আইনজীবী টড বস্ন্যাঞ্চ বলেন, সাবেক এই প্রেসিডেন্ট কোনো অপরাধ করেননি এবং তিনি যা করেছেন, সেটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার কোনো অবৈধ চেষ্টা ছিল না। কারণ এটাই গণতন্ত্র। ফলে ট্রাম্প নির্দোষ বলেও দাবি করছেন তিনি।
মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ৭৭ বছর বয়সি ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদন্ড হতে পারে। তবে জরিমানা দিয়ে তিনি কারাবাস থেকে রেহাই পেতে পারবেন। আর এই মামলা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রার্থী হতে কোনো বাধার সৃষ্টি করবে না।