আটকে থাকা জান্তা সেনাদের লক্ষ্য করে এবার মিয়ানমার-থাই সীমান্তে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে বিদ্রোহীরা। শনিবার সকালে থাইল্যান্ডের সঙ্গে মিয়ানমারের পূর্ব সীমান্তে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ভয়ে প্রাণ নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়েছেন ২০০ বেসামরিক। প্রত্যক্ষদর্শী, মিডিয়া এবং থাই সরকার এ তথ্য জানিয়েছে।
তথ্য সূত্র : রয়টার্স
১১ এপ্রিল সীমান্তবর্তী প্রধান বাণিজ্য শহর মিয়াবতী দখল করে নেয় প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীরা। ঘটনাটি সামরিক জান্তার জন্য একটি বড় ধরনের ধাক্কা ছিল। এই ঘটনার পর থাই-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী একটি ক্রসিং সেতুতে আশ্রয় নেয় প্রায় ২০০ জান্তা সেনা। তাদের লক্ষ্য করেই শনিবারের এই হামলার পরিচালনা করে মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা।
থাই ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের তিন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, শুক্রবার গভীর রাত থেকে একটি কৌশলগত সেতুর কাছে বিস্ফোরণ এবং ভারী মেশিনগানের গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন তারা। এই শব্দ শনিবার ভোর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বেশ কয়েকটি থাই মিডিয়া জানিয়েছে, তাৎক্ষণিক আশ্রয়ের আশায় সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে গেছেন প্রায় ২০০ মানুষ।
থাই সম্প্রচারকারী 'এনবিটি' সোস্যাল মিডিয়া পস্ন্যাটফর্ম এক্স-এ করা একটি পোস্টে বলেছে, জান্তা সেনাদের লক্ষ্য করে প্রতিরোধ বাহিনী ৪০ মিলিমিটার মেশিনগান ব্যবহার করেছে এবং ড্রোন ব্যবহার করে ২০টি বোমা ফেলেছে। তাদের লক্ষ্যবস্তু হওয়া জান্তা সেনারা ৫ এপ্রিলে থেকে মিয়াবতী এবং সেনা পোস্টে সম্মিলিত হামলা থেকে বাঁচতে সীমান্তবর্তী একটি সেতু ক্রসিংয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানে আনুমানিক ২০০ জান্তা সেনা আশ্রয় নিয়েছে।
সীমান্তের এই অস্থিরতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা বলেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। প্রয়োজনে তার দেশ মানবিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ তিনি বলেন, 'এই ধরনের কোনো সংঘর্ষ থাইল্যান্ডের আঞ্চলিক অখন্ডতার ওপর কোনো প্রভাব ফেলুক, তা আমরা দেখতে চাই না। আমাদের সীমানা এবং জনসাধারণের নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা প্রস্তুত।' তবে ওই পোস্টে উদ্বাস্তুদের বিষয়ে কিছু উলেস্নখ করেননি তিনি।