নাগাল্যান্ডের ছয় জেলায় ভোট প্রায় শূন্য

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতে শুক্রবার শেষ হয়েছে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। কিন্তু আলাদা প্রশাসন এবং আর্থিক খাতে আরও বেশি স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়ে ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অরগানাইজেশন (ইএনপিও) রাজ্যে 'জন জরুরি অবস্থা' ঘোষণা করে স্থানীয়দের ভোট বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে। যার ফলে নাগাল্যান্ডের ছয়টি জেলায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ভোট প্রদানের হার প্রায় শূন্য ছিল। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ ইএনপিও গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করছে অভিযোগ তুলে ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা সংগঠনটির বিরুদ্ধে একটি নোটিশ জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, 'সংগঠনটি পূর্ব নাগাল্যান্ড অঞ্চলে বসবাসকারীদের সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অবাধ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অযাচিত প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছে।' ওই নোটিশে ইএনপিওকে কেন তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ধারা ১৭১সি-এর উপধারার অধীন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই উপধারা অনুযায়ী, যদি কেউ কোনো অবাধ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছায় হস্তক্ষেপ করে বা করার চেষ্টা করে, তবে সেটিকে নির্বাচনে অযাচিত প্রভাব বলে গণ্য করা হবে। আইনের চোখে যা দন্ডযোগ্য অপরাধ। নোটিশের জবাবে ইএনপিও বলেছে, তাদের গণবিজ্ঞপ্তির 'মূল লক্ষ্য' ছিল 'আমাদের এখতিয়ারের অধীন পূর্ব নাগাল্যান্ডের যেসব অঞ্চল রয়েছে, সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং অসামাজিক উপাদানের সমাবেশ হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করা।' লোকজন 'স্বেচ্ছায়' ভোট দিতে যাচ্ছে না বলেও দাবি তাদের। ইএনপিও বলেছে, এখানে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৭১সি উপধারা কার্যকর হবে না। কারণ, এখানে অযাচিত প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচনে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।' যদি এ বিষয়ে 'কোনো ভুল বোঝাবুঝি থেকে থাকে বা ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে' তবে তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি আছে। উলেস্নখ্য, গত ৮ মার্চ সেখানে 'জন জরুরি' অবস্থা জারি করা হয়। উলেস্নখ্য, ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে দেশটির ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আগামী ১ জুন পর্যন্ত মোট সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এবারের ভোটগ্রহণ। ভারতে এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯৬ কোটি, তারাই বেছে নেবেন ৫৪৩টি লোকসভা আসন থেকে কারা পার্লামেন্টে যাবেন। ভারতের নির্বাচন কমিশন বলছে, এই ৯৬ কোটি ভোটারের প্রত্যেকের ভোটই অত্যন্ত মূল্যবান। তারা দেশের যে প্রান্তে, যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন, ভোটের বাক্সে তারা যেন নিজেদের মতামত খুব সহজে ও মসৃণভাবে দিতে পারেন, তার জন্য চেষ্টার কোনো ত্রম্নটি থাকবে না।