জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্য পদ আটকে দিল আমেরিকা
প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ফিলিস্তিন নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে আমেরিকা। প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘে 'সম্পূর্ণ সদস্য পদ' দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আমেরিকা তাতে রাজি হয়নি। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব আনা হয়। তথ্যসূত্র : ডিডাবিস্নউ নিউজ, রয়টার্স, এএফপি
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে আলজেরিয়া প্রস্তাবটির খসড়া তৈরি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য হিসেবে গ্রহণ করা হোক। ১২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। দুটি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। আমেরিকা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। অর্থাৎ নিজেদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে তারা।
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য আমেরিকা, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া এবং চীন। কোনো প্রস্তাব পাস করাতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের অন্তত ৯টি সদস্য দেশকে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে হয়। স্থায়ী সব দেশকে প্রস্তাবের পক্ষে থাকতে হয়। একটি দেশ ভেটো দিলে প্রস্তাব পাস হয় না। শুধু তা-ই নয়, নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস হলে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেলে তবেই ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সদস্য হতে পারবে। এখন তারা কেবলই অবজারভার (পর্যবেক্ষক) হিসেবে সেখানে আছে।
ভোটের পর জাতিসংঘের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, 'ভাবনা ভালো ছিল। কিন্তু এদিনের প্রস্তাব সময়ের আগেই নেওয়া হয়েছে। এভাবে ফিলিস্তিনকে সদস্য করা সম্ভব নয়।'
ভোটের আগে মার্কিন মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, আমেরিকা চায় ফিলিস্তিন আলাদা রাষ্ট্রের সম্মান পাক। কিন্তু সেই আলোচনা সরাসরি ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের সদস্যদের একসঙ্গে বসে করতে হবে। আমেরিকা সেখানে মধ্যস্থতা করতে পারে মাত্র।
উলেস্নখ্য, ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে অসলো চুক্তিতে ফিলিস্তিনকে নিজস্ব প্রশাসন ও সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের রাষ্ট্রের সম্মান দেওয়া হয়নি। তবে ভবিষ্যতে যাতে তারা রাষ্ট্রের সম্মান পেতে পারে, সেই রাস্তা তৈরি করে রাখা হয়েছিল।
এদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, ভেটো প্রয়োগ করে আমেরিকা দেখিয়ে দিল, ফিলিস্তিনিদের সম্পর্কে তারা আসলে কী ভাবে। তিনি আরও বলেন, ওয়াশিংটন মনে করে, ফিলিস্তিনিরা নিজস্ব রাষ্ট্র পাওয়ার যোগ্য নয়। এটি কেবল ইসরাইলের স্বার্থই উপলব্ধি করতে পারে।