কারাবাখ থেকে শান্তিরক্ষী প্রত্যাহার করছে রাশিয়া
প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ হয়েছিল, সেখান থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে রাশিয়া। দুই দেশের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে
ওই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন
করেছিল দেশটি।
রাশিয়ার শান্তিরক্ষী বাহিনী এরই মধ্যে আজারবাইজানের নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল ছাড়তে শুরু করেছে বলে
নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিন ও আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ।
ছয় সপ্তাহ ধরে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলার পর ২০২০ সালের নভেম্বরে এক চুক্তির আওতায় দক্ষিণ ককেশাসের এই অঞ্চলে দুই হাজার সীমান্তরক্ষী মোতায়েন করে রাশিয়া। সেনাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও গত বছরের সেপ্টেম্বরে আজারবাইজান পুনরায় অঞ্চলটি নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় এবং সেখান থেকে এক লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয়কে বিতাড়িত করে ও আর্মেনিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার
করতে শুরু করে।
সে সময় রাশিয়া আর্মেনিয়ার স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়, যা রাশিয়া প্রত্যাখান করে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত রুশ সেনাদের কারাবাখে
থাকার কথা।
রাশিয়া এমন সময় সেনা সরিয়ে নিচ্ছে, যখন আর্মেনিয়া সরকার তাদের দেশের প্রধান বিমানবন্দর থেকে রুশ সীমান্তরক্ষীদের সরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে এবং পাশ্ববর্তী জর্জিয়ার জনগণ রাশিয়া সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।
নাগরনো-কারাবাখ আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে পরিচিত। তবে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে। তাদের সমর্থনে রয়েছে আর্মেনিয়ার সরকার। অঞ্চলটির দখল নিয়ে এর আগে দেশ দুটির মধ্যে ১৯৯০ সালের যুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।
পাহাড়ি উপত্যকা নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে। পূর্বের স্ব-ঘোষিত রিপাবলিক অব নাগরনো-কারাবাখ সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আজারবাইজানের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। মূলত আর্মেনিয়ার স্বাধীনতাকামী জনগণের মতের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র : রয়টার্স