আজকের যায়যায়দিন

ইসরাইলি ভূখন্ডে প্রথমবারের মতো ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় 'সীমিত' প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে ইসরাইল। সেক্ষেত্রে ইরানের বাইরে ইরান-সমর্থিত শক্তিগুলোর ওপর হামলা চালাতে পারে ইসরাইলি বাহিনী। আমেরিকার চার কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার এ তথ্য দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ।

গত শনিবার দিবাগত রাতে ইসরাইল লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনসু্যলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দামেস্কে গত ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।

এরপর থেকেই ইরানের সম্ভাব্য হামলা এবং তার প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে আমেরিকা ও ইসরাইলের কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত কথা হচ্ছিল। সেসব আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই উলিস্নখিত চার মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানের হামলার পর ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া 'সীমিত' হতে পারে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরাইল গত সপ্তাহে যখন সম্ভাব্য ইরানি হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন ইসরাইলি কর্মকর্তারা সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমেরিকাকে অবহিত করেছিলেন।

পাঁচ বিষয় সামনে / ক্ষমতায় যাওয়ার প্রস্তুতিতে ট্রাম্পের দ্রম্নতগতি

তবে মার্কিন কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রতিক্রিয়া কীভাবে জানানো হবে, সে বিষয়ে ইসরাইলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদের এখনো অবহিত করা হয়নি এবং ইরানি হামলার পর তাদের পরিকল্পনাগুলো পরিবর্তিতও হতে পারে। তারা আরও বলেছেন, ইসরাইলের পাল্টা হামলা কখন শুরু হবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এটি যে কোনো সময় ঘটতে পারে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরান যদি সীমিত পরিসরে আক্রমণ করে, অথবা বিস্তৃত হামলা চালায়, যাতে ইসরাইলি প্রাণহানি ও অবকাঠামো ধ্বংসের ঘটনা ঘটে, তাহলে ইসরাইলের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, সে বিষয়ে গত সপ্তাহে মার্কিন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছিলেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা। তাদের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে ইরানের অভ্যন্তরে কোনো সামরিক পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টিও ছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, যেহেতু ইরানের হামলায় ইসরাইলে কোনো প্রাণহানি বা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেনি, তাই ইসরাইল হয়তো তাদের অন্যতম কম আগ্রাসী কৌশলটিই বেছে নিতে পারে। সেটি হলো- ইরানের বাইরে হামলা।