ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত
সিরিয়ায় ইরানি কনসু্যলেটে হামলার ঘটনায় ইরানের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ঘিরে যে কোনো ধরনের সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইসরাইল প্রস্তুত রয়েছে। রোববার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এই মন্তব্য করেছেন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
ইয়োভ গ্যালান্ত বলেন, শত্রম্ন ইরানের সঙ্গে তৈরি হতে পারে, এমন যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার দেশ প্রস্তুত। ইসরাইলের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর দেওয়া বিবৃতিতে ওই মন্তব্য করেন গ্যালান্ত।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনসু্যলেটে হামলা চালায় ইসরাইল। ওই হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান। হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেলসহ ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সাত কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একজন কমান্ডারও রয়েছেন। হামলায় কনসু্যলেট ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, 'সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে কোনো ধরনের পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।'
রোববার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুলস্নাহ আলি খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেছেন, ইসরাইলের কোনো দূতাবাসই আর নিরাপদ নয়। তেহরান ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতকে একটি 'ন্যায় ও আইনি অধিকার' হিসেবে দেখে।
ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা 'আইএসএনএ' রোববার একটি চিত্র প্রকাশ করেছে। এতে ইরানের হাতে থাকা ৯টি ভিন্ন ভিন্ন ধাঁচের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলে আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে।
যদিও দামেস্কে হামলার বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে দেশটির নেতারা বলেছেন, তারা ইরানের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। কারণ গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং লেবাননের হিজবুলস্নাহকে সহায়তা করছে ইরান। গত ছয় মাস ধরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে হামাস ও হিজবুলস্নাহ।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরাইলি ও আমেরিকান স্বার্থে ইরানের সম্ভাব্য হামলার হুমকিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
১৯৯৪ সালে আর্জেন্টিনার রাজধানীতে ইহুদিদের একটি প্রার্থনা কেন্দ্রে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ইরান জড়িত বলে দাবি করেছে ইসরাইল। ওই হামলায় অন্তত ৮৫ জন নিহত হন। তবে বুয়েন্স আয়ার্সে সেই হামলায় জড়িত থাকার কথা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান।
