ইসরাইলি আগ্রাসন
গাজায় নিহত ছাড়াল ৩৩ হাজার
উপত্যকায় দুই হাজার ৯২২টি গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী, বিপুল বেসামরিক নাগরিককে হত্যার অনুমতি দিয়েছিল ইসরাইল
প্রকাশ | ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে ইসরাইলি বর্বর হামলায় আরও ৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৩ হাজার। ইসরাইলের এই হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, গার্ডিয়ান
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩৩ হাজার ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন আহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় প্রায় ৬২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৯১ জন আহত হয়েছেন।
ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বুধবার জানায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় দুই হাজার ৯২২টি গণহত্যা চালিয়েছে। আর এর জেরে গাজায় মোট ১৪ হাজার ৫০০ শিশু এবং ৯ হাজার ৫৬০ জন নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও সাত হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন।
মিডিয়া অফিস আরও বলেছে, গাজায় ইসরাইলি হামলার মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৩ শতাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া গাজায় ১৭ হাজার শিশু তাদের পিতা-মাতা বা উভয়ের যে কোনো একজন ছাড়াই বসবাস করছে।
গাজার অনাহারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মিডিয়া অফিস বলেছে, অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে গাজায় এখন পর্যন্ত ৩০ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ৪৮৪ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, ১৪০ জন সাংবাদিক এবং ৬৫ জন সিভিল ডিফেন্সকর্মীও ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন। গুরুতর অসুস্থ এবং বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন এমন আহতদের সংখ্যা ১১ হাজার এবং ১০ হাজার ক্যান্সার রোগী অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবার কারণে মৃতু্যর ঝুঁকিতে রয়েছেন। গাজায় প্রায় ৭০ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আরও দুই লাখ ৯০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত এবং বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বেসামরিক নাগরিককে হত্যার
অনুমতি দিয়েছিল ইসরাইল
গাজায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বোমা হামলার অভিযানের আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটাবেস ব্যবহার করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে হামাসের সঙ্গে সম্পর্কিত ৩৭ হাজার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করেছিল ইসরাইল। যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত একজন গোয়েন্দা সূত্র এ তথ্য দিয়েছেন।
'ল্যাভেন্ডার' নামে পরিচিত এআই ব্যবস্থার ব্যবহার সম্পর্কে কথা বলার পাশাপাশি গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানিয়েছেন, ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তারা, বিশেষ করে সংঘাতের প্রথম সপ্তাহ এবং মাসগুলোতে বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করার অনুমতি দিয়েছিলেন। তাদের এই অকপট সাক্ষ্য ইসরাইলি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের প্রথম ধাপের অভিজ্ঞতার একটি বিরল ইঙ্গিত দিচ্ছে। তারা ছয় মাস ধরা চলা যুদ্ধে লক্ষ্য চিহ্নিত করতে যান্ত্রিক ব্যবস্থা ব্যবহার করছে।