সীমান্ত নিয়ে চীন-ভারত বিরোধ বহু পুরনো। সম্প্রতি ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত ইসু্যতে উভয়ের মধ্যে বাড়ছে উত্তাপ। এবার এই বিরোধের আগুনে যেন ঘি ঢেলেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের আরও ৩০টি জায়গার নাম পরিবর্তন করেছে বেইজিং। এমনকি ১ মে থেকে এই নতুন নাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে দেশটি। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
এদিকে চীনা নামকরণের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, 'অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। চীনের দেওয়া নাম এই বাস্তবতাকে পরিবর্তন করতে পারবে না।'
চীনের বেসামরিক সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত শনিবার অরুণাচলের ৩০টি অঞ্চলের চীনা নাম প্রকাশ করে। এ নিয়ে চতুর্থ দফায় প্রদেশটির বিভিন্ন এলাকার চীনা নাম প্রকাশ করেছে বেইজিং। এর আগে ২০১৭ সালে অরুণাচলের বিভিন্ন এলাকার চীনা নামের প্রথম তালিকা প্রকাশ করে বেইজিং। প্রথম তালিকায় ছয়টি এলাকার নাম ছিল। এরপর ২০২১ সালে ১৫টি স্থানের নামকরণ করে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে তারা। ২০২৩ সালে প্রকাশিত তালিকায় ছিল ১১টি স্থানের নাম।
মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'চীনের দেওয়া নতুন নামগুলো বাস্তবতাকে পরিবর্তন করতে পারবে না। অরুণাচল ভারতের প্রদেশ ছিল এবং সর্বদাই ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে।' ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর সোমবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'নাম পরিবর্তন করে কিছুই হবে না। আমি যদি তোমার বাড়ির নাম পরিবর্তন করি, তাহলে কি আমার বাড়ি হয়ে যাবে?'
গত মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি অরুণাচলে অবকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য রাজ্যটি সফরের পর চীন জানিয়েছিল, তারা এই অঞ্চলে প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। ভারত চীনের যুক্তিগুলোকে 'ভিত্তিহীন' বলে অভিহিত করেছে।
গত মাসে আমেরিকা জানায়, তারা অরুণাচলকে ভারতীয় অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশটি জানায়, তারা অরুণাচলে যে কোনো ধরনের অনধিকার প্রবেশের বিরোধিতা করছে। কিন্তু চীন এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে বলেছিল, 'এ বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে কিছু করার নেই।'
চীন ও ভারতের মধ্যে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে।