তুরস্কের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জয় পেয়েছে এরদোয়ানের বিরোধী দল। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা 'আনাদুলু এজেন্সি'র খবরে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারার প্রধান শহরগুলোতে জয় পেয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) প্রার্থীরা। বলা হচ্ছে ২০ বছরে 'জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পার্টি'র (একে পার্টি) এমন বড় পরাজয় দেখা যায়নি। তথ্যসূত্র : এএফপি, আনাদলু
তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতেই জয় পেয়েছে সিএইচপি। এই ৩৬টি প্রদেশের মধ্যে রাজধানী আঙ্কারা, ঐতিহাসিক শহর ইস্তাম্বুলসহ এরদোয়ানের রাজনৈতিক দল একে পার্টির ঘাঁটি বলে পরিচিত কয়েকটি প্রদেশও রয়েছে। ২০০১ সালে গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম এত বড় ভরাডুবি ঘটল একেপির।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় নির্বাচনে বিরোধী দলের জয় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়ে্যপ এরদোয়ানের দল একেপির জন্য একটি বড় ধাক্কা।
এদিকে, নির্বাচনে পরাজয়ের কথা স্বীকার করেছেন এরদোয়ান। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বারান্দায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, একে পার্টি তার প্রভাবশালী অবস্থান হারিয়েছে। এই পরাজয়ের পেছনের কারণ খোঁজা হবে। কোনো ভুল-ত্রম্নটি থাকলে তা শুধরে নেওয়া হবে।
ইস্তাম্বুলে রোববার ৯৫ শতাংশ ব্যালট গণনা করা হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি মেয়র একরেম ইমামোগলু জানিয়েছেন, তিনি একে পার্টির পার্টির চেয়ে ১০ লাখ বেশি ভোট পেয়েছেন। এছাড়া তুরস্কের তৃতীয় বৃহৎ শহর ইজমিরেও এগিয়ে রয়েছে সিএইচপি। একরেম ইমামোগলু এক বক্তৃতায় বলেন, 'যারা জাতির বার্তা বোঝেন না, তারা শেষ পর্যন্ত হেরে যাবেন। আজ রাতে ইস্তাম্বুলের ১৬ মিলিয়ন বাসিন্দা যারা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রেসিডেন্ট- উভয়ের প্রতি একটি বার্তা পাঠিয়েছেন।' রাজধানী আঙ্কারায় সিএইচপির মেয়র মানসুর ইয়াভাস জয়ের দাবি জানিয়ে ফলকে দেশের 'শাসকদের জন্য এক স্পষ্ট বার্তা' হিসেবে উলেস্নখ করেন।
রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দেশটির ৮১ প্রদেশে ৭৭ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ নির্বাচনের ফলের প্রেক্ষাপটে তুরস্কের রাজনীতি নতুন মোড় নিল। ২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একে পার্টির বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।