গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর চলমান অভিযানের মধ্যেই পশ্চিম তীরে ২৩ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীগুলোর জোট ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টিনিয়ান অথোরিটি-পিএ)।
বৃহস্পতিবার সেই মন্ত্রিসভার অনুমোদন দিয়ে ডিক্রি জারি করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, যিনি প্রায় দুই যুগ ধরে পিএ-কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
গত ১৫ আগস্ট ফিলিস্তিনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহের স্থলাভিষিক্ত হন নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফা। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে মাহমুদ আব্বাসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।
নতুন মন্ত্রিসভার ২৩ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন গাজা উপত্যকা থেকে এসেছেন। তবে উপত্যকার সঙ্গে এখনো তাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে কিনা- নিশ্চিত নয়।
পশ্চিম তীর এবং গাজা- দুই ভূখন্ড নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিনের দুই অংশেই এক সময় পিএ ক্ষমতাসীন ছিল। ২০০৭ সালের নির্বাচনে গাজায় পিএ বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস জয়ী হয়ে পিএ-কে উপত্যকা থেকে উচ্ছেদ করে। তারপর থেকে পশ্চিম তীরে পিএ এবং গাজায় হামাস ক্ষমতায় রয়েছে।
বর্তমান ফিলিস্তিনে পিএ'র জনপ্রিয়তা প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, এজন্য দায়ী দু'টি কারণ- প্রথমত, ২০০৭ সালের পর আর নির্বাচন না হওয়া এবং দ্বিতীয়ত, ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা প্রশ্নে ইসরাইলের সরকারের প্রতি পিএ'র আপসকামী মনোভাব।
অন্যদিকে হামাস বরাবরই সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্থাপনের পক্ষে হওয়ায় পিএ'র তুলনায় ফিলিস্তিনে গোষ্ঠীটির জনপ্রিয়তা খানিকটা বেশি। কিন্তু কট্টরপন্থি মনোভাবের কারণে ফিলিস্তিনের বাইরে বহির্বিশ্বে তো বটেই, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও হামাসের গ্রহণযোগ্যতা প্রায় শূন্যের কোঠায়।
ফিলিস্তিনের বৈধ শাসক হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো পিএ-কেই বিবেচনা করে। তথ্যসূত্র : এবিসি নিউজ