কংগ্রেসকে আয়কর নোটিশ পাঠাল ভারতের আয়কর দপ্তর
প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ভারতের প্রাচীনতম দল কংগ্রেসের কাছে আয়কর নোটিশ পাঠিয়েছে দেশটির আয়কর দপ্তর। লোকসভা ভোটের আগে আয়কর দপ্তরের নতুন এই নোটিশ পেয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। শুক্রবার অল ইনডিয়া কংগ্রেস কমিটি-এআইসিসির কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, 'বিজেপি আয়কর আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে। ওদের কাছে চার হাজার ৬০০ কোটি রুপি জরিমানা চেয়ে আয়কর নোটিশ পাঠানো উচিত।' তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ
অজয়ের পাশাপাশি শুক্রবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। তিনি জানান, তাদের কাছে এক হাজার ৮২৩ কোটি ৮ লাখ রুপি চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে আয়কর দপ্তর থেকে। রমেশ বলেন, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি 'কর সন্ত্রাস' শুরু করেছে। ওরা বিরোধীদের আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দিতে চাইছে।
আয়কর দপ্তরের একটি সূত্র জানাচ্ছেন, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষ পর্যন্ত আয়কর সংক্রান্ত রিটার্ন পর্যালোচনা করেই রাহুল গান্ধী-মলিস্নকার্জুন খড়্গের দলের কাছে অর্থ চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বকেয়া কর, তার সুদ এবং জরিমানার অঙ্ক মিলিয়েই ওই বিপুল অঙ্কের অর্থ চাওয়া হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি। আয়কর আইনের ১৩(১) ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ মেলার পরই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
গত ১৩ মার্চ আয়কর আপিল ট্রাইবুনালের নির্দেশের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আবেদন দিলিস্ন হাইকোর্ট খারিজ করার পরেই ধারাবাহিকভাবে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে আয়কর দপ্তর। ওই নির্দেশের পর কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে চলতি মাসে ১৩৫ কোটি রুপি কেটে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবারও ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের কর পুনর্মূল্যায়নের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের একটি নতুন আবেদন দিলিস্ন হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছিল। তারপরই পাঠানো হলো নতুন নোটিশ। দুটি ক্ষেত্রেই দিলিস্ন হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বেঞ্চ কংগ্রেসের আবেদন খারিজ করে।
জয়রাম শুক্রবার বলেন, 'আমরা এই নোটিশগুলোতে ভয় পাব না। আরও আক্রমণাত্মক হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নামব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে আট হাজার ২০০ কোটি রুপি পেয়েছে। তার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট ওই বন্ডকে অসাংবিধানিক বলেছে।' অন্যদিকে, মাকেনের মন্তব্য, 'পুরনো ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে আয়কর রিটার্ন পুনর্মূল্যায়নের নামে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত শয়তানি শুরু হয়েছে।'