ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কারণ হিসেবে তিনি দলকে জানিয়েছেন, ভোটে লড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ নেই তার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তার অর্থাভাবের কথা নিজেই প্রকাশ্যে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আমার বেতন এবং সঞ্চয় অল্প। সেটা দেশের অর্থ নয়।' তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ
লোকসভা লড়াইয়ে অনেক রাজ্যসভার সদস্যকেই এবার টিকিট দিয়েছে বিজেপি। তার মধ্যে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। তিনি এত দিন রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। একইভাবে নির্মলাও তিনবার রাজ্যসভার সদস্য হয়েছেন। শেষ বার জিতেছেন ২০২২ সালে। সেই সময় নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হলফনামায় নির্মলা জানিয়েছিলেন, তার সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৬৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬১ রুপি।
ঘটনাচক্রে, নির্মলার মতো ২ কোটি রুপির বেশি সম্পত্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। ২০১৯ সালের হলফনামা বলছে মোদির মোট সম্পত্তি ছিল ২ কোটি ৫১ লাখ ৩৬ হাজার ১১৯ রুপি। দেখা যাচ্ছে, সর্বশেষ সম্পত্তির হিসাবে স্বয়ং মোদির চেয়ে একটু হলেও এগিয়েই আছেন নির্মলা। তারপরেও নির্মলা কেন বললেন, তার কাছে ভোটে লড়ার মতো অর্থ নেই?
রাজনীতির সঙ্গে যাদের যোগাযোগ রয়েছে, তারা জানেন কোনো প্রার্থীই সাধারণত নিজের সঞ্চিত অর্থের ভরসায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন না। দলের পক্ষেই তার খরচ বহন করা হয়ে থাকে। বিজেপির মতো 'ধনী' দলের ক্ষেত্রে তো বটেই।
নির্মলা জানিয়েছেন, তাকে তামিলনাড়ু বা অন্ধ্রপ্রদেশের কোনো আসন থেকে লড়তে বলা হয়েছিল লোকসভা ভোটে। পাশাপাশিই তিনি জানিয়েছেন, সেই প্রস্তাব তিনি খারিজ করে দিয়েছেন ভোটে লড়ার 'যথেষ্ট অর্থ নেই', এই যুক্তি দিয়ে। তবে সেটিই যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ভোটে লড়তে না চাওয়ার মূল কারণ নয়, তাও নির্মলার কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেছেন, 'অন্ধ্রপ্রদেশ কিংবা তামিলনাড়ু, যেখানেই ভোটে দাঁড়াই, সেখানে জেতার একাধিক মাপকাঠি রয়েছে। যেমন, আপনি সেখানকার গোষ্ঠী বা ধর্মের মানুষ কি-না। আমি মনে করি না আমি ওটা করতে পারব।' একই সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, 'আমি এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন সময় নিয়েছিলাম। তারপরে শুধু বললাম, না, (নির্বাচনে) লড়ার মতো অর্থ আমার নেই।'