সতর্ক বিজ্ঞানীরা
মহাকাশে নক্ষত্র ফেটে গেলে বিপদ পৃথিবীর
প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
মহাকাশে প্রতিনিয়ত কত কিছুই না ঘটে চলেছে। পৃথিবীর এক কোণে বসে তার এক শতাংশও মানুষের চোখে পড়ে না। টেলিস্কোপে চোখ রেখে, গবেষণাপত্রের পাতা উল্টে কিছু কিছু মহাজাগতিক ঘটনা মানুষ জানতে পারে বটে, কিন্তু সিংহভাগই থেকে যায় অজানা।
বিজ্ঞানীরা মাঝেমধ্যেই নক্ষত্র বা তারার মৃতু্যর খবর দেন। পৃথিবীতে বসে তারা জানতে পারেন, মহাকাশের কোন্ প্রান্তে কত আলোকবর্ষ দূরে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটেছে কোন্ নক্ষত্রে, কোন্ নক্ষত্রের অপমৃতু্য হচ্ছে মহাশূন্যে। তবে এবারের গবেষণার ফল কিছুটা চিন্তার। নক্ষত্রের এই মৃতু্যর ফলে প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীর ওপরেও বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণার মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন, কোনো নক্ষত্রে বিস্ফোরণের ফলে তা অস্তিত্বহীন হয়ে গেলে মহাকাশে তার প্রভাবে কী কী হতে পারে। এ বিষয়ে এত দিন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের যে ধারণা ছিল, সাম্প্রতিক গবেষণার পর তা বদলে গেছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মহাকাশে যে তারার মৃতু্য ঘটছে, তার কাছাকাছি, অর্থাৎ ১৬০ আলোকবর্ষের মধ্যে থাকা অন্য যে কোনো গ্রহ বা উপগ্রহের ওপর ওই বিস্ফোরণ বা মৃতু্যর প্রভাব পড়তে পারে। এর প্রভাবে গ্রহের অভ্যন্তরীণ আবহাওয়া বদলে যেতে পারে। স্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে গ্রহের বায়ুমন্ডলে।
পৃথিবী থেকে ১৬০ আলোকবর্ষের মধ্যে অবস্থিত কোনো নক্ষত্র যদি মহাকাশে হঠাৎ মৃতু্যর কোলে ঢলে পড়ে, তবে তার প্রভাব পড়বে পৃথিবীর ওপরেও। এর ফলে বদলে যেতে পারে পৃথিবীর আবহাওয়া।
কোনো নক্ষত্র প্রসারিত হতে হতে নিজের ভর বিকিরণ করতে থাকলে সেই পরিস্থিতিকে 'সুপারনোভা' বলা হয়। এই সুপারনোভার ফলে নির্গত হয় এক্স রশ্মি। যা অন্য যে কোনো গ্রহের বায়ুমন্ডল, পরিবেশ বদলে দিতে সক্ষম।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অবশ্য জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পৃথিবীর কাছাকাছি এমন কোনো নক্ষত্র নেই, যা মৃতু্যর মুখে। ফলে নিরাপদ দূরত্বেই অবস্থান করছে পৃথিবী। তবে ভবিষ্যতে যদি তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে বিপদ হতে পারে। তাই সুপারনোভা নিয়ে আরও তথ্য জানতে গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ