গাজার পুরো জনগোষ্ঠী তীব্র খাদ্য সংকটে :বিস্নঙ্কেন
প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার ২০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটসহ নানা মাত্রার সংকটের মধ্যে দিনযাপন করছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নঙ্কেন।
বিবিসি জানায়, গাজার পরিস্থিতি এখন কেমন? এ প্রশ্নের উত্তরে বিস্নঙ্কেন বলেন, এ-ই প্রথম কোনো পুরো জনগোষ্ঠীকে এভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
যাদের প্রয়োজন, তাদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিস্নঙ্কেন। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা আর সহায়তা বাড়ানো না হলে আগামী মে মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। ফিলিপাইন সফরে গিয়ে মঙ্গলবার বিস্নঙ্কেন এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতির উদ্যোগের মধ্যে আবারও মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাবেন বিস্নঙ্কেন। গত অক্টোবরের পর ওই অঞ্চলে এটা বিস্নঙ্কেনের ষষ্ঠ সফর।
হামাসের সঙ্গে আবারও যুদ্ধবিরতির চুক্তি করা, মানবিক সহায়তা আনা এবং ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার কাতারের দোহায় ইসরাইলের আলোচকদের নতুন করে আলোচনায় বসার কথা। ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বৃহত্তম সামরিক সহায়তা দেওয়া দেশ যুক্তরাষ্ট্র। গাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্নঙ্কেন বলেন, 'গাজার শতভাগ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার নানা মাত্রায় দিনযাপন করছে। এবারই প্রথম কোনো পুরো জনগোষ্ঠীকে এভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।'
যখন পর্যাপ্ত খেতে না পেয়ে কারো জীবন বা জীবিকা বিপন্ন হতে নেয়, সেই পরিস্থিতিকে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বলে। এর সুরাহা করা না হলে সেটা মানুষকে অনাহারের দিকে ঠেলে দেয়। এ বিষয়ে বিস্নঙ্কেন বলেন, 'আমরা আবারও দেখছি এবং জাতিসংঘ বলছে, গাজার শতভাগ মানুষের মানবিক সহায়তা দরকার।'
আফগানিস্তান ও সুদানের সঙ্গে তুলনা টেনে বিস্নঙ্কেন আরও বলেন, 'সুদানের সঙ্গে তুলনায় করলে দেখি, সেখানকার ৮০ শতাংশ মানুষের মানবিক সহায়তা দরকার। আফগানিস্তানে সেটা দরকার ৭০ শতাংশ মানুষের। তাই এখানকার (গাজা) পরিস্থিতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি।'